যুক্তরাষ্ট্রে শনাক্ত হওয়া প্রথম ইবোলা রোগী যে বাসায় থাকতেন, সেখানকার সব বাসিন্দাকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি টমাস ডানকান নামে ওই ব্যক্তির সংস্পর্শে আসা ৫০ জনকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। এঁদের মধ্যে ১০ জনকে ‘উচ্চমাত্রার ঝুঁকি’ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। খবর বিবিসি ও রয়টার্সের।
টমাস ডানকান গত মাসের মাঝামাঝি স্বজন ও বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করতে লাইবেরিয়া থেকে যুক্তরাষ্ট্রে আসেন। তিনি নিজ দেশেই মারাত্মক ইবোলা ভাইরাসে আক্রান্ত হলেও যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের পরই কেবল বিষয়টি শনাক্ত হয়। বর্তমানে ডানকান হাসপাতালে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন।
ডানকান টেক্সাসের ডালাসের যে ফ্ল্যাটে উঠেছিলেন, সেটি বিশেষজ্ঞদের মাধ্যমে পরিষ্কার করা হয়েছে। আর তাঁর সঙ্গে বসবাসকারী চারজনকে অন্য একটি বাসায় সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ওই চারজন হলেন ডানকানের সম্ভাব্য প্রেমিকা লুইস ট্র ও তাঁর ১৩ বছর বয়সী ছেলে এবং দুই ভাইপো। গত কয়েক দিন স্বাস্থ্য বিভাগের নির্দেশে তাদের ওই ফ্ল্যাট থেকে বের হতে দেওয়া হয়নি।
ডানকান লাইবেরিয়ায় গাড়িচালক হিসেবে কাজ করেন। তিনি ইবোলায় আক্রান্ত একজনকে ক্লিনিকে পৌঁছে দিয়েছিলেন বলে মনে করা হচ্ছে।
এর আগে আরও চার মার্কিন লাইবেরিয়ায় এ ভাইরাসের সংস্পর্শে এসেছেন। তাঁদের মধ্যে তিনজন ত্রাণকর্মী, যাঁরা যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়েছেন। আরেকজন হলেন সাংবাদিক অশোকা মুকপো, যিনি শিগগিরই যুক্তরাষ্ট্রে ফিরবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রে ইবোলা প্রতিরোধে কর্তৃপক্ষের পদক্ষেপের বিষয়ে সাফাই গেয়েছেন মার্কিন কর্মকর্তারা। গত শুক্রবার ওয়াশিংটেন এক সংবাদ সম্মেলনে সরকারি কর্মকর্তাদের কাছে জানতে চাওয়া হয়, অসুস্থ ডানকান তাঁর ইবোলার সংস্পর্শে আসার আশঙ্কার কথা ডালাসের একটি হাসপাতালকে জানানোর পরও কেন তাঁকে বাড়িতে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হলো। জবাবে জাতীয় স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের পরিচালক অ্যান্টনিন ফাউসি বলেন, ডালাসে কিছু বিষয় ছিল, যেগুলো ঠিকঠাকভাবে হয়নি। তবে বেশির ভাগ ব্যাপারই সঠিকভাবে সামলানো হয়েছে এবং এখনো হচ্ছে।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসির হাওয়ার্ড বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতাল জানিয়েছে, সম্প্রতি তাদের কাছে একজন রোগী আসে, যার দেহে ‘ইবোলার মতো’ উপসর্গ দেখা গেছে। ওই ব্যক্তি সম্প্রতি নাইজেরিয়ায় ভ্রমণ করেছেন। তাঁকে আলাদা স্থানে সরিয়ে নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে।