ম্যাচের নায়ক একজন নয়। দুজন। দুজনের নামের মধ্যে একটা মিলও আছে। মাঝখানের ‘ডি’। অ্যাঙ্গেল ডি মারিয়া আর ডেভিড ডি গিয়া আজ গুরুত্বপূর্ণ তিনটা পয়েন্ট এনে দিলেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে। ওদিকে আরেক ‘ডি’—ডিয়েগো কস্তা যেন গোলের পর গোল করার পণ নিয়েই ইংল্যান্ডে এসেছেন। আজও গোল পেলেন এই স্ট্রাইকার। লিগে যেটি তাঁর নবম গোল। আর্সেনালকে ২–০ গোলে হারাল চেলসি।
এভারটনের বিপক্ষে ইউনাইটেডের জয়টা ২–১ গোলের। ডি মারিয়া একটা গোল করেছেন। দুর্দান্ত থ্রুতে করিয়েছেন আরেকটা। ডি মারিয়ার অ্যাসিস্টে লাল জার্সিতে নিজের প্রথম গোলটা পেয়েছেন রাদামেল ফ্যালকাও। ২৭ মিনিটে এগিয়ে যাওয়ার পরও ৫৫ মিনিটে গোল খেয়ে বসেছিল ইউনাইটেড। সাত মিনিট পরে জয়সূচক গোলটি করেন কলম্বিয়ান স্ট্রাইকার।
গোলের হিসাব খুঁজলে ডি গিয়ার কৃতিত্ব পাওয়া যাবে না। ম্যাচে এভারটনের দাপটই ছিল বেশি। গোলেও বেশি শট নিয়েছে তারা। পুরো ম্যাচে চারটি দুর্দান্ত সেভ করেছেন ডি গিয়া। এর মধ্যে প্রথমার্ধের শেষে একটি পেনাল্টিও বাঁচিয়েছেন। দ্বিতীয়ার্ধের শেষ মুহূর্তে করেছেন ‘ডাবল সেভ’। ফিরতি বলে বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া শটটা ঠেকিয়েছেন দুর্দান্ত ক্ষিপ্রতায়। কিন্তু দুজনকে ম্যাচ সেরার পুরস্কার দেওয়ার চল নেই ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে। সেটি পেয়েছেন ডি মারিয়া। তবে ইউনাইটেডে আসার পর থেকে আনচেলত্তির আফসোস বাড়িয়ে চলা আর্জেন্টাইন উইঙ্গার নিজে বলেছেন, পুরস্কারটি ডি গিয়ারই প্রাপ্য ছিল।
যাই হোক, আক্রমণ–পাল্টা আক্রমণ আর শেষ মুহূর্তের নাটকীয় রোমাঞ্চের একটা ম্যাচ দেখল ওল্ড ট্র্যাফোর্ড। সে তুলনায় স্টামফোর্ড ব্রিজের ‘বিগ ম্যাচ’টা ততটা জমেনি। আর্সেনালের আক্রমণভাগ কল্কে পায়নি চেলসির রক্ষণে। নিজেদের মাঠে ২৭ মিনিটে পেনাল্টি থেকে চেলসিকে এগিয়ে দেন এডেন হ্যাজর্ড। ৭৮ মিনিটে দারুণ এক চিপ থেকে ব্যবধান ২–০ করেন কস্তা।