রাজশাহীর মোহনপুরে মনিরা বেগম (২৪) নামের এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। গত মঙ্গলবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। তিনি উপজেলার কেশরহাট পৌরসভার হরিদাগাছি নামোপাড়া গ্রামের ওমান প্রবাসী সিরাজুল ইসলাম সিরুর স্ত্রী। এ ঘটনায় নিহতের ননদ লতিফা বেগম, লিপি বেগম ও জা সাগরী বেগমকে আটক করেছে পুলিশ। বর্তমানে নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
সূত্র মতে, মোহনপুর উপজেলার কেশরহাট পৌরসভার হরিদাগাছি নামোপাড়া গ্রামের সনোয়ার হোসেনের মেয়ে মনিরা বেগমের সাথে একই গ্রামের চপল মন্ডলের ছেলে সিরাজুল ইসলাম সিরুর সাথে পাঁচ বছরে আগে বিয়ে হয়। তাদের সংসারে বর্তমানে একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। নিহতের পিতার দাবি, মঙ্গলবার রাতে দেবর, ননদ-জা মিলে গৃহবধূ মনিরা বেগমকে বেদম পিটিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়ার জন্য নিজ ঘরের বাঁশের সাথে গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলিয়ে দিয়েছে। ভোরে তার দুই বছরের কন্যা সন্তান মায়ের লাশ দেখে চিৎকার দেয়। এসময় আশপাশের লোকজন গিয়ে ওই গৃহবধূর লাশ দেখে মোহনপুর থানায় খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘরের দরজা ভেঙ্গে লাশটি উদ্ধার করে। এসময় তিন জনকে আটক করা হয়।
মোহনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল হামিদ জানান, বুধবার ভোরে খবর পেয়ে সকালে গিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন এবং লাশটি উদ্ধার করেছেন। এসময় ননদ-জাসহ তিনজনকে আটক করা হয়। তবে গৃহবধূর শরীরে কোনো নির্যাতনের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। আর দরজা ভেঙ্গে লাশটি উদ্ধার করায় মৃত্যুটি রহস্যজনকই মনে হচ্ছে। তাই ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে না পাওয়া পর্যন্ত এটি হত্যা না আত্মহত্যা সে ব্যাপারে নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না বলে জানান ওসি।