প্রাকৃতিক গ্যাসে দেশের গাড়ি, কারখানা চললেও এখনো এই সুবিধা থেকে বঞ্চিত ৮০ শতাংশ মানুষ। কবে নাগাদ তাদের এই দূর্ভোগ দূর হবে, তাও অনিশ্চিত। এদিকে গ্যাসের দাম আরো একদফা বাড়ানর পরিকল্পনা চলছে। দৈনিক কালের কণ্ঠ-এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এই তথ্য।
পত্রিকাটি জানায়, চলতি মাসেই গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দেশের গ্যাস বিতরণ সংস্থা ও পেট্রোবাংলা বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনে (বিইআরসি) পাঠাবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। পেট্রোবাংলা এর আগে ২০১৩ সালের মার্চ মাসে সর্বশেষ গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব পাঠায় বিইআরসিতে।
পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান ড. হোসেন মনসুর পত্রিকাটিকে জানান, ১০ টাকার জিনিসের দাম এক টাকা থাকলে তা বাড়িয়ে দুই টাকা করা হলে ১০০ ভাগ দাম বাড়ে। কিন্তু তা ১০ টাকার সমান হয় না। বাংলাদেশে গ্যাসের দাম আন্তর্জাতিক বাজারের তুলনায় অনেক কম।
জানা গেছে, চলতি মাসে গ্যাস বিতরণ কম্পানিগুলো দাম বৃদ্ধির আলাদা আলাদা দর প্রস্তাব পাঠাবে বিইআরসিতে। এর মধ্যে বাসাবাড়ির এক চুলার গ্যাস ৪০০ টাকার স্থলে ৮৫০ টাকা, দুই চুলা ৪৫০ টাকার স্থলে এক হাজার টাকা করার প্রস্তাব পাঠানো হতে পারে। শিল্পের জন্য প্রতি হাজার ঘনফুট গ্যাসের দাম ১৬৫.৯১ থেকে বাড়িয়ে ২২০ টাকা, বাণিজ্যিকে ২৬৮.১ থেকে বাড়িয়ে ৩০৫ টাকা, চা বাগানে ১৬৫.৯১ থেকে বাড়িয়ে ২০০ টাকা, শিল্প-কারখানায় স্থাপিত নিজস্ব বিদ্যুৎ বা ক্যাপটিভ পাওয়ারে ১১৮.২৬ থেকে ২৪০ টাকা, বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহƒত গ্যাস ৭৯.৮২ থেকে ৮৪ টাকা, সিএনজিতে ৬৫১.২৯ থেকে ৯০৫.৯২ টাকা করার সুপারিশ করা হতে পারে। এ ছাড়া সার কারখানার গ্যাস ৭২.৯২ থেকে মাত্র ৮০ টাকা করার প্রস্তাব দিতে পারে গ্যাস বিতরণ কম্পানিগুলো।