যুক্তরাষ্ট্রকে টপকে বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির স্থানটি দখল করে নিয়েছে চীন। এর ফলে প্রায় দেড় শ বছর পর মার্কিন অর্থনীতি নেমে এল দ্বিতীয় অবস্থানে। খবর ডেইলি মেইলের।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব অনুযায়ী, চীনের অর্থনীতির আকার এখন ১১ ট্রিলিয়ন ব্রিটিশ পাউন্ড। আর যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি ১০ দশমিক ৮ ট্রিলিয়ন পাউন্ডের।
ব্যাপক শিল্পায়নের ফলে গত কয়েক দশকে চীনের অর্থনীতি বেড়েছে যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে অতি দ্রুতগতিতে। এতে পিছিয়ে পড়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ১৮৭২ সালে যুক্তরাজ্যকে পেছনে ফেলে বৃহত্তম অর্থনীতির স্থানটি দখলে নেয় যুক্তরাষ্ট্র। এর পর থেকে এ পর্যন্ত দেশটি সেই অবস্থানেই ছিল।
আইএমএফ বলছে, ২০১৯ সাল নাগাদ চীনের অর্থনীতির আকার দাঁড়াতে পারে ১৬ দশমিক ৭ ট্রিলিয়ন পাউন্ডে। তত দিনে মার্কিন অর্থনীতি চীনের থেকে পিছিয়ে পড়তে পারে ২০ শতাংশ। অর্থাৎ মার্কিন অর্থনীতির আকার তখন দাঁড়াতে পারে ১৩ দশমিক ৮ ট্রিলিয়ন পাউন্ড।
ক্রয়ক্ষমতার সমতার (পারচেজিং পাওয়ার প্যারিটি বা পিপিপি) ভিত্তিতে অর্থনীতির আকার নির্ধারণ করেছে আইএমএফ। সমপরিমাণ অর্থে কোন দেশে বেশি দ্রব্য ক্রয় করা যায়, তার ভিত্তিতে পিপিপি নির্ধারণ করা হয়। এ ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে চীনের বাজার অনেক সস্তা।
তবে এই পিপিপির ভিত্তিতে অর্থনীতির আকার ঠিক করার সময় জীবনযাপনের ব্যয় আমলে নেওয়া হয় না। যদি তা করা হয়, তাহলে চীনের অর্থনীতি এখনো যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে ছোট।
এর পরও (পিপিপির ভিত্তিতে হলেও) যুক্তরাষ্ট্রকে টপকে চীনের অর্থনীতি প্রথম স্থান দখল করে নেওয়াকে বিশ্ব অর্থনীতির জন্য একটি ‘প্রতীকী ক্ষণ’ হিসেবে বিবেচনা করছেন বিশেষজ্ঞরা।