এশিয়া-ইউরোপ মিটিং (আসেম) শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নিতে আগামী বুধবার ইতালি যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশটির রাজধানী মিলানে বৃহস্পতিবার থেকে দু’দিনের ওই সম্মেলন শুরু হবে। ২০১২ সালে ভিয়েনতিয়েনে অনুষ্ঠিত নবম শীর্ষ সম্মেলনে সংস্থাটির পূর্ণ সদস্য পদ পাওয়া বাংলাদেশের এবারের দশম আসরে মূলত অভিষেক হবে। অবশ্য গেল আসরে বাংলাদেশের সঙ্গে নরওয়ে ও সুইজারল্যান্ডকে পূর্ণ সদস্য পদ দেয়ার সংস্থার আকার বেড়ে ৫১তে পৌঁছায়। বিরোধী দলের বর্জনের মুখে অনুষ্ঠিত ৫ই জানুয়ারির নির্বাচনের পর তৃতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর এশিয়া-ইউরোপের সেতুবন্ধনে প্রতিষ্ঠিত কোন সংস্থার এমন শীর্ষ সম্মেলনে এটাই হবে শেখ হাসিনার প্রথম অংশগ্রহণ। অবশ্য গেল মাসেই তিনি জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৬৯তম অধিবেশেন অংশ নিয়েছেন। সেখানে ভাষণ দেয়া ছাড়াও ভারতসহ বিভিন্ন দেশের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেছেন। একাধিক কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে, আসেম-এর মত গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক ফোরামে দেশ ও সরকারের ভাবমূর্তি বাড়াতে নানামুখী কর্মসূচিকে সম্পৃক্ত হবেন প্রধানমন্ত্রী। কেবল সামিটে অংশগ্রহণই নয়, সাইড লাইনে এশিয়া ও ইউরোপের বিভিন্ন রাষ্ট্র ও সংস্থার শীর্ষ প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকের পরিকল্পনা রয়েছে তার। তবে প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী ও সফরকালীন কর্মসূচি গতকালও (এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত) চূড়ান্ত হয়নি বলে দাবি করেছেন প্রস্তুতির সঙ্গে যুক্ত একাধিক কর্মকর্তা। তাদের মতে, হাই প্রোফাইল যে কোন সফরে শেষ মুহূর্তে সংযোজন-বিয়োজন হয়। সাইড লাইনের মিটিংগুলো শেষ সময়ে চূড়ান্ত হয় বলেও দাবি এক কর্মকর্তার। এদিকে একাদিক সূত্র নিশ্চিত করেছে, প্রধানমন্ত্রীর সফর সফল করতে ঈদের ছুটির মধ্যেই এডভান্স টিমের ডজন খানেক সদস্য মিলান গেছেন। তারা কাজও শুরু করেছেন বলে জানা গেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, দশম আসেম শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নিতে ইতালির প্রধানমন্ত্রী মাত্তেও রেনজি, ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট হারমান ভন রম্পুই ও ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট হোসে মানুয়েল বারাসো শেখ হাসিনাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। সে মতে তার চার দিনের সফরের সফরসূচি অনুমোদন হয়েছে। ওদিকে ইতালির পর প্রধানমন্ত্রীর সংযুক্ত আরব আমিরাত সফর করবেন।
২৬ ও ২৭শে অক্টোবর (প্রস্তাবিত) দু’দিনের এ সফর বাস্তবায়নে এরই মধ্যে প্রস্তুতিও শুরু হয়ে গেছে।