চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাস অর্থাৎ জুলাই-সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশ থেকে ৬২৩ কোটি মার্কিন ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে। দেশীয় মুদ্রায় যা প্রায় ৫০ হাজার ৫৬০ কোটি টাকার সমান।
তৈরি পোশাক খাতের এই আয় গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে মাত্র শূন্য দশমিক ৪০ শতাংশ বেশি হলেও আলোচ্য সময়ের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে তা ৩ দশমিক ৭৭ শতাংশ কম।
এদিকে জুলাই-সেপ্টেম্বর সময়ে দেশের মোট পণ্য রপ্তানি বাবদ আয় হয়েছে ৭৬৯ কোটি ৫১ লাখ ডলার। এই আয় আলোচ্য সময়ের ৮০০ কোটি ডলারের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩ দশমিক ৮৭ শতাংশ কম। তবে তা গত অর্থবছরের চেয়ে দশমিক ৮৮ শতাংশ বেশি। চলতি অর্থবছরের প্রথম মাসে ঋণাত্মক প্রবৃদ্ধি হয় ১ দশমিক ৩৭ শতাংশ। আর প্রথম দুই মাসে প্রবৃদ্ধি হয় ২ শতাংশ।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) রপ্তানি আয়ের এই হালনাগাদ তথ্য আজ সোমবার প্রকাশ করেছে। এতে দেখা যায়, তৈরি পোশাকে সামান্য প্রবৃদ্ধির পাশাপাশি পাট ও পাটজাত পণ্য, টেরিটাওয়াল, প্রকৌশল পণ্য, বিশেষায়িত টেক্সটাইল, হিমায়িত মাছসহ বেশকিছু পণ্যে ঋণাত্মক প্রবৃদ্ধি হওয়ায় সামগ্রিক রপ্তানি আয়ের প্রবৃদ্ধি এক অঙ্কের ঘরে নেমে এসেছে।
ইপিবির তথ্যানুযায়ী, আলোচ্য সময়ে ৩০ কোটি ডলারের চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি হয়েছে, যা গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ১২ দশমিক ৩৯ শতাংশ বেশি। এই ৩০ কোটি ডলারের মধ্যে ১০ কোটি ৯২ লাখ ডলারের চামড়া, ৫ কোটি ৮৩ লাখ ডলারের চামড়াজাত পণ্য, ১৪ কোটি ডলারের পাদুকা রপ্তানি হয়েছে। এ ছাড়া পাট ও পাটজাত পণ্যে ১৯ কোটি, হোম টেক্সটাইলে ১৮ কোটি, টেরিটাওয়ালে ১ কোটি, বাইসাইকেলে ৩ কোটি ৪৬ লাখ, প্লাস্টিকে ২ কোটি ৭৩ লাখ, প্রকৌশল পণ্যে ৮ কোটি ৩৪ লাখ ডলার রপ্তানি আয় হয়েছে।
এদিকে কেবল গত সেপ্টেম্বরে ২৫৫ কোটি ডলার আয় হয়েছে, যা আলোচ্য সময়ের ২৩৪ কোটি ডলারের চেয়ে ৮ দশমিক ৯১ শতাংশ বেশি। এই আয় গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ১ দশমিক ৪৪ শতাংশ কম।
চলতি অর্থবছর দেশের পণ্য রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ হাজার ৩২০ কোটি ডলার। সর্বশেষ ২০১৩-১৪ অর্থবছর ৩ হাজার ১৮ কোটি ডলার রপ্তানি আয় অর্জিত হয়।