আরিফ উদ্দিন, গাইবান্ধা থেকেঃ গাইবান্ধার সাদুল্যাপুর উপজেলার কামারপাড়ায় লিজ দেওয়া অর্পিত সম্পতির লিজের নাম পরিবর্তন করে পুনরায় একটি শিা প্রতিষ্ঠানের নামে লিজ নবায়নের অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে পূর্বের লিজ গ্রহিতা ইব্রাহিম খলিল অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক বরাবরে বকেয়া লিজমানি পরিশোধ ও নবায়নকৃত লিজ বাতিলের জন্য আজ রবিবার লিখিত আবেদন করেছেন। লিখিত আবেদনে উলেখ্য করা হয়, উপজেলার কামারপাড়া ইউনিয়নের অর্পিত সম্পতি তালিকাভূক্ত খতিয়ান নং ৬৪৩, দাগ নং ২৪৯৬ জমির পরিমান ৪৯ শতক। উল্লেখিত সম্পতি মৃত এবারত উলার ছেলে ইব্রাহিম খলিলের নামে ১৩/৮৪-৮৫ ভিপি ইজারা কেস মুলে একসনা মেয়াদে লিজ দেওয়া হয়। লিজ নেওয়ার পর থেকে তিনি উক্ত জমি ভোগ দখল করে মাছ চাষ করে আসছেন। আর্থিক অভাবের কারণে লিজ তিনি লিজমানি পরিশোধ করতে পারে নাই। এ নিয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিসারের দেওয়া নোটিশের পর জমির খাজনা পরিশোধের জন্য আবেদন করেন তিনি। কিন্তু আবেদনের পরেও সংশিষ্ট ভূমি অফিসের কর্মকর্তারা খাজনা গ্রহণ করেনি। লিজ গ্রহিতা ইব্রাহিম খলিল অভিযোগ করে বলেন, গত ১৬ সেপ্টেম্বর উক্ত অর্পিত সম্পতি সরেজমিনে তদন্ত করেন ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার হোসাইন ও অফিস সহকারী শাহজাহান মিয়া। তারা স্থানীয় লোজনের উপস্থিতিতে তদন্ত শেষে মনগড়া একটি প্রতিবেদন দাখিল করেন। এছাড়া প্রতিবেদনে শর্ত ভঙ্গ ও সাব-লিজ প্রদানের কথা উলেখ করে কামারপাড়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নামে লিজ নবায়নের সুপারিশ করেন। উক্ত সুপারিশেরে প্রেেিত পূর্বের সমস্ত বকেয়া লিজমানি আদায় সাপেে গত ১৮ সেপ্টেম্বর (স্মারক নং উঃভূঃঅঃ/সাদুঃ.ভিপি/২০১৪-৩১৪(৪) লিজ পরিবর্তনের আদেশ প্রদান করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) (অঃদাঃ) মুহা. আহসান হাবীব। তিনি আরও বলেন, সংশিষ্ট ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার হোসাইন ও অফিস সহকারী শাহজাহান মিয়া কামারপাড়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক মো. জাহাঙ্গীর আলমের সঙ্গে যোগসাজস ও মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে উক্ত অর্পিত সম্পতির লিজের নাম পরিবর্তন করেন। এছাড়া একই সময়ে মো. জাহাঙ্গীর আলম ২৪৯৪ দাগে ৪৮ শতক জমি লিজ গ্রহন করেন। বর্তমানে ওই জমির ২০ শতকে স্কুলের ভবন নির্মাণ, ২ শতক জমিতে দোকান নির্মাণ করে ভাড়া দেওয়া ও ১৬ শতক জমি পরিত্যক্ত রয়েছে। জাহাঙ্গীর আলমও এ পর্যন্ত ওই জমির কোন লিজমানি বা খাজনা পরিশোধ করেননি। কিন্তু তারপরেও ওই লিজের জমির অনিয়মের বিষয়টি দেখেও না দেখার ভান করে আমার কাছে খাজনা না নিয়ে লিজে নাম পরিবর্তন করা হয়েছে। তিনি বিষয়টি সরেজমিনে তদন্ত পূর্বক লিজমানি পরিশোধের অনুমতি ও তার নামে লিজ বহালের জন্য সংশিষ্ট কর্তৃপরে হস্তপে কামনা করেছেন। উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) (অঃদাঃ) মুহা. আহসান হাবীব জানান, অর্পিত সম্পতি সুষ্ঠ ব্যবস্থাপনার স্বার্থে লিজের নাম পরিবর্তনের আদেশ দেওয়া হয়। ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার হোসাইন ও অফিস সহকারী শাহজাহান মিয়া তাদের বিরুদ্ধে আনিত যোগসাজসের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।