ভালোবাসা অনেক পবিত্র একটি জিনিস, কিন্তু অনেক সময় শুধুমাত্র মোহটাকেও ভালোবাসা বলে ভুল করে নেন অনেকেই। আর এই মোহের বশেই অনেক ধরণের ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন। যা পরবর্তী জীবনের জন্য সুখকর না হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।
ভুল সিদ্ধান্তগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে পরিবারের অনুমতি ছাড়াই বিয়ে করে ফেলা। হয়তো কোনো কারণে অভিভাবক প্রেমের সম্পর্ক মেনে নিচ্ছেন না এবং বিয়েতে বাধা দিচ্ছেন, তখন হুট করে অনুমতি ছাড়াই বিয়ে করে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন অনেকেই। কিন্তু এর সুদূরপ্রসারী ফলাফল কি খুব ভালো? তাই এসব ক্ষেত্রে ভালো করে বিচার বুদ্ধি দিয়ে ভেবে দেখুন কিছু বিষয়।
বাবা-মা কখনোই সন্তানের অমঙ্গল চান না। তারা সব সময় সন্তানের সুখটাই প্রথমে দেখে থাকেন। ভেবে দেখুন তো আপনি কতটা চেষ্টা করেছেন তাদের অনুমতি নেয়ার জন্য? সত্যিই কি বিনা অনুমতি বাদে অন্য কোনো উপায় নেই? দয়া করে ভেবে দেখুন। কারণ আপনার পরিবার সব সময়ই আপনার সাথে জড়িত।
আপনার অবিভাবকের আপনার সঙ্গীর সাথে সম্পর্ক না করতে দেয়ার পেছনের মূল কারণটা কি একবার ভেবে দেখেছেন কিংবা জানতে পেরেছেন? হতে পারে আপনি আবেগের বশবর্তী হয়ে সঙ্গীর কোনো দোষ খুঁজে পাচ্ছেন না যা আপনার অভিভাবক পাচ্ছেন। তাই এই ব্যাপারটিও ভেবে দেখুন।
পরিবারের অনুমতি ছাড়া বিয়ে করলে অনেক সময় পরিবারের সাথে যোগাযোগই হয়ে উঠে না। কিংবা হলেও তা হয় অনেক দেরিতে। একটিবার ভেবে দেখুন তো যে পরিবারের সাথে আপনি এতটা বছর কাটিয়েছেন তাদের ছাড়া থাকতে পারবেন কি?
আপনাদের দু পরিবারের পক্ষ থেকেই কি অনুমতি মিলছে না? যদি তাই হয়ে থাকে তবে ভালো করে ভেবে দেখুন। কারণ এর পেছনে নিশ্চয়ই কোনো কারণ রয়েছে। বেশিরভাগ সময়ই দেখা যায় দু পরিবারে সমস্যা থাকলে বিনা অনুমতিতে বিয়ে করলে জীবনে কখনোই সুখি হওয়া যায় না কারণ, বিয়ের পরে তাদের একসাথে মানিয়ে নেয়ার কেউ থাকে না।
দ্বিতীয়বার ভেবে দেখুন আপনি যার জন্য নিজের পরিবার ছাড়ছেন তিনি কি আসলেই এর যোগ্য? তিনি কি সারাজীবন আপনাকে সাপোর্ট ও ভালোবাসা দিয়ে যেতে পারবেন ভালোভাবে? আবেগ দিয়ে নয় বুদ্ধি বিচার করে ভাবুন তারপর সিদ্ধান্ত নিন।
অনেক দুর্ঘটনা ঘটতে দেখা যায় আমাদের দেশে এই ধরনের বিয়ের পর। যদি আপনার সাথে খুব খারাপ ধরনের কিছু নাও ঘটে তারপরও মনে রাখবেন জীবনটা সহজ কিছু নয়। দাম্পত্যজীবনে যে কোনো সমস্যা বাঁধলে আপনাকেই তার সমাধান করতে হবে কারণ আপনি বিনা অনুমতিতে বিয়ে করে পরিবারের সাপোর্ট হারিয়ে ফেলেছেন। সুতরাং ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নিন।