মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর উপজেলার বৈন্যা গ্রামের শ্বশুরবাড়ি থেকে গত মঙ্গলবার বিকেলে চাঁদনী সরকার (১৪) নামের এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল বুধবার দুপুরে ময়নাতদন্ত শেষে লাশটি তার বাবার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় গতকাল ওই কিশোরীর বাবা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেছেন।
চাঁদনীর ফুফাতো ভাই কাজল সরকার জানান, প্রায় সাত মাস আগে ঘিওর উপজেলার শ্রীবাড়ী গ্রামের অজিত সরকারের মেয়ে চাঁদনীকে বিয়ের প্রস্তাব দেন বৈন্যা গ্রামের কেশব মনিদাসের ছেলে মন্টু মনিদাস। নাবালিকা হওয়ায় প্রস্তাবটি ফিরিয়ে দেন চাঁদনীর অভিভাবকেরা। এরপর গত ২২ এপ্রিল মন্টু মাইক্রোবাসে করে চাঁদনীকে অপহরণ করে নিয়ে গিয়ে বিয়ে করেন। ওই ঘটনায় থানায় অভিযোগ করা হয়। পরে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা মেয়েটিকে ফিরিয়ে আনার আশ্বাস দিলে থানায় মামলা করা হয়নি।
মঙ্গলবার সকালে খবর পেয়ে চাঁদনীর শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে তার লাশ দেখতে পান স্বজনেরা। এরপর স্বজনেরা চাঁদনীর লাশ তার বাবার বাড়িতে নিতে চাইলে মন্টুর পরিবারের লোকজন বাধা দেন। পরে খবর পেয়ে বিকেলে পুলিশ মন্টুর বাড়ি থেকে চাঁদনীর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
চাঁদনীর বাবা অভিযোগ করে বলেন, সোমবার রাতের কোনো এক সময় মন্টু ও তাঁর পরিবারের লোকজন তাঁর মেয়েকে মারধর ও শ্বাসরোধে হত্যা করেছেন। এ ঘটনায় তিনি মেয়েকে অপহরণ, ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগে মন্টুসহ আটজনকে আসামি করে মামলা করেছেন।
অভিযোগ অস্বীকার করে মন্টু মনিদাস সাংবাদিকদের জানান, চাঁদনীকে অপহরণ কিংবা হত্যা করা হয়নি। তাঁরা দুজনে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করেন। সোমবার সকালে ঘরের ভেতরে ফাঁস নিয়ে চাঁদনী আত্মহত্যা করে। তবে আত্মহত্যার কারণ সম্পর্কে তিনি কিছু বলতে পারেননি। এ ব্যাপারে সিঙ্গাইর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) হাসান বুলবুল বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।