প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ব্যক্তিমালিকানায় থাকা বন্ধ শিল্প-কারখানা উদ্ধার করে ফের চালুর ঘোষণা দেয়ায় নতুন করে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছেন খুলনার বন্ধ থাকা পাটকলের হাজার হাজার শ্রমিক।
গত ১২ অক্টোবর সচিবালয়ে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় পরিদর্শনে এসে এ ঘোষণা দেন তিনি।
বেসরকারি পাট সুতা বস্ত্রকল শ্রমিক-কর্মচারী ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম সবুজ বলেন, কোনো মন্ত্রী এ ঘোষণা দিলে আমরা খুশি হতাম না। যেহেতু প্রধানমন্ত্রী নিজে এ ঘোষণা দিয়েছেন সে কারণে আমরা নতুন করে আশায় বুক বাঁধছি। আমি বিশ্বাস করি প্রধানমন্ত্রীর এ ঘোষণার ফলে খুলনার বন্ধ থাকা ব্যক্তিমালিকানাধীন ৪টি মিল চালু হবে এবং শ্রমিকদের অসহায় জীবন-যাপন দূর হবে। তাদের মুখে হাসি ফুটবে।
স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে মিলগুলোকে রাষ্ট্রীয়করণ করা হয়। পরে নব্বই দশকে বেশ কয়েকটি মিল ব্যক্তি মালিকানায় ছেড়ে দেওয়া হয়। এর মধ্যে মহসেন, এ্যাজাক্স, সোনালী জুট মিলও ব্যক্তিমালিকানায় দেওয়া হয়। তবে অর্থসংকট ও লোকসানের অজুহাত দেখিয়ে মালিকরা মিলগুলো বন্ধ করে রেখেছে বলে শ্রমিকরা অভিযোগ করেছেন।
বর্তমানে খুলনার মহসেন, এ্যাজাক্স, সোনালী ও স্পেশালাইজডসহ যশোরের আরও একটি মিল বন্ধ রয়েছে। এসব মিল চালুর দাবিতে শ্রমিকরা রাজপথ-রেলপথ, সমাবেশ, অবরোধ, বিক্ষোভসহ নানা কর্মসূচি পালন করেছেন।
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী এর বাস্তবায়ন করা হলে বন্ধ থাকা খুলনা-যশোর অঞ্চলের ৫টি মিল চালু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকা খুলনা নিউজপ্রিন্ট, দাদা ম্যাচ ফ্যাক্টরি ও হার্ডবোর্ড মিলের শ্রমিকদের মাঝেও আশার আলো উঁকি দিয়েছে।