ঝিনাইদহ থেকে রাজশাহীতে চিকিৎসা নিতে এসে খুন হয়েছেন লিটন আলী (৩২) নামের এক ব্যক্তি। আজ রোববার সকালে নগরের শ্রীরামপুর এলাকায় পদ্মা নদীর পাড় থেকে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পরে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
লিটনের বাড়ি ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার পলিয়ানপুর গ্রামে। তাঁর বাবার নাম হানিফ আলী।
পুলিশ জানায়, লিটন তাঁর নিজের ও শাশুড়ির চিকিৎসার জন্য গত শনিবার রাজশাহীতে আসেন। সঙ্গে তাঁর চাচা শ্বশুর জহুরুল ইসলাম ছিলেন। রোববার সকালে তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার কথা ছিল। রাতে হাসপাতালের ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের সামনের বারান্দায় তাঁরা রাত কাটানোর সিদ্ধান্ত নেন।
চাচা শ্বশুর জহুরুল ইসলাম বলেন, সন্ধ্যায় তাঁদের হাসপাতালের বারান্দায় রেখে লিটন শহর দেখার জন্য হাসপাতাল থেকে বের হন। কিন্তু রাতভর তাঁর আর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। সকালের দিকে তিনি লোকমুখে শুনতে পান, পদ্মা নদীর ধারে একজন মানুষ মরে পড়ে আছে। পরে তিনি সেখানে গিয়ে লিটনের লাশ শনাক্ত করেন।
সেখানে গিয়ে দেখা যায়, পদ্মার ধারে কাঁশবনের ভেতরে এক জায়গায় লিটনের রক্তমাখা একপাটি চামড়ার স্যান্ডেল পড়ে রয়েছে। আর নদীর ঘাটের কাছাকাছি তাঁর মৃতদেহ এবং সেখান থেকে আরও খানিকটা সামনে নদীর ঘাটের দিকে লিটনের মুঠোফোনটি পড়ে রয়েছে।
আজ সকালে হাসপাতালের ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের বারান্দায় গিয়ে লিটনের শাশুড়ি আখলিমা বেগমকে পাওয়া যায়। তিনি বলেন, তাঁর গলার সমস্যা এবং জামাইয়ের মাথার সমস্যার কারণে তাঁরা হাসপাতালে এসেছিলেন।
লিটনের ভাগনি মমতাজ লীনা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েন। তিনি বলেন, সারা রাত মামার কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। এ জন্য বাড়ি থেকে ফোন করে জানানো হয়। তিনি সকালে হাসপাতালে এসেও কাউকে পাননি। পরে রাজপাড়া থানায় গিয়ে লাশের খবর পান।
রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী হাসান বলেন, তাঁরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন লিটনকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। যাঁরা খুন করেছে, তারা তাঁর মুঠোফোনটি নেয়নি এমনকি তাঁর পকেটে থাকা টাকাও নেয়নি।