আরিফ উদ্দিন, গাইবান্ধা থেকেঃ গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার খোর্দ্দার চরে জুয়া ঠেকাতে গিয়ে জুয়ারুদের মারপিটে ইউপি চেয়ারম্যান, মেম্বর, গ্রাম পুলিশসহ ২০ জন আহত হয়েছে। শনিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে তারাপুর ইউনিয়নের খোদ্দাঁর চরে এ ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, ওই এলাকায় প্রায় ৬ মাস থেকে ঝুমুর যাত্রা নামে অশ্লীল নৃত্যসহ জমজমাট ভাবে জুয়া খেলা চলে আসছিল। শনিবার দুপুরে ভারপ্রাপ্ত ইউএনও রাশেদুল হক প্রধান স্থানীয় চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ, মেম্বর মোজাফ্ফর, গণমান্য ব্যক্তি ও পুলিশ ফোর্সের সহযোগিতায় ঝুমুর গানের স্থাপনা গুড়িয়ে ও পুড়িয়ে দেয়। এদিকে জুয়ারুদের মুল হোতা ফুলু, মুকুল, ফরিদা, শফিকুল, নজরুল, মতিয়ার ওরফে লিচুসহ জুয়ারু দল ওই রাতেই চ্যালেঞ্জ করে আবারও ওই স্থানে জুয়ার আসর বসায়। এ সংবাদ পেয়ে চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ, মেম্বর শাহ আলম, গ্রাম পুলিশ ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সাথে নিয়ে জুয়া ঠেকাতে খোর্দ্দার চরে গেলে জুয়ারুরা ক্ষিপ্ত হয়ে তাদের এলোপাতারি মারপিট ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপায়। এতে চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ, মেম্বর শাহ আলম, গ্রাম পুলিশ আব্দুল জলিল, আঃ রশিদ ওরফে সাদ্দাম, এন্তাজ আলী, বিপ্লব, পলাশ, রাজু, সবুজ, শাহজাহান, তারা মিয়াসহ ২০ আহত হয়। আহতরা সুন্দরগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও স্থানীয় ভাবে চিকিৎসারত। এদের মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় গ্রাম পুলিশ আব্দুল জলিল, আঃ রশিদ ওরফে সাদ্দাম, এন্তাজ আলীকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোন মুহুর্তে বড় ধরণের সহিংসতা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসি।