ন্যাশনাল ব্যাংকের আর্থিক অবনতির কথা সরাসরি জানতে চাইবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। আজ ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। বৈঠকে তাদের বিরুদ্ধে ওঠা নানা আর্থিক অনিয়মের তথ্য চাওয়া হবে। একই সময় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকেও পেশ করা হবে তাদের নানা অনিয়মের খতিয়ান। এ সময় উভয়পক্ষের কথা শুনবেন সদ্য নিযুক্ত পর্যবেক্ষক কাজী ছাইদুর রহমান। আর্থিক অবস্থার অবনতি রোধে গত ৮ই অক্টোবর দেশের পুরোনো এ ব্যাংকটিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ফরেক্স রিজার্ভ অ্যান্ড ট্রেজারি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের মহাব্যবস্থাপক কাজী ছাইদুর রহমানকে পর্যবেক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। ব্যাংকটির কার্যক্রম স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে না আসা পর্যন্ত তিনি দায়িত্ব পালন করবেন। এ জন্য ন্যাশনাল ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ব্যাংক কোম্পানি আইন অনুযায়ী, যে কোন ব্যাংকের আর্থিক অবস্থার ক্রমাবনতি ঠেকাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক পর্যবেক্ষক নিয়োগ দিতে পারে। গুলশান ও নিমতলী শাখার ঋণ বিতরণে অনিয়মসহ বহুমুখী সমস্যায় পড়েছে ন্যাশনাল ব্যাংক।  এসব সমস্যা উত্তরণে কেন্দ্রীয় ব্যাংক পর্যবেক্ষক নিয়োগসহ সার্বিক পরিস্থিতি নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। একই কারণে ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক শফিকুর রহমান কিছুদিন আগে পদত্যাগ করেছেন। এবিষয়ে জানতে চাইলে ন্যাশনাল ব্যাংকের পর্যবেক্ষক কাজী ছাইদুর রহমান মানবজমিনকে জানান, পর্যবেক্ষক নিয়োগের পর এটি প্রথম বৈঠক। তিনি বলেন, এ মুহূর্তে কোন করণীয় নয়, কেবল শুনবো। উভয়পক্ষের কথা শোনার পর মতামত দেয়া হবে বলে জানান তিনি। এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক ম. মাহফুজুর রহমান মানবজমিনকে জানান, অভিযোগের সত্যতাসহ প্রতিবেদন পেলেই ব্যবস্থা নেবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগ। এ নিয়ে আর আমার  টেবিল পর্যন্ত আসবে না। ওখান থেকে চলে যাবে। তবে তিনি কয়েক দিন আগে দাবি করেন, বর্তমানে ব্যাংকটির অবস্থা ভাল। বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পর্যবেক্ষক নিয়োগের পর থেকে ন্যাশনাল ব্যাংকের উপর মানুষের আস্থা বেড়ে গেছে। সে সময় তিনি আরও বলেন, প্রায় ৬০০ কোটি টাকার আমানত বেড়েছে। তবে যেসব কারণে পর্যবেক্ষক দেয়া হয়েছে তার সত্যতা মিললে ন্যাশনাল ব্যাংকের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় ধাপে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। মাহফুজুর রহমান বলেন, ব্যাংকটির গুলশান ও নিমতলী শাখার ঋণ বিতরণকারী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে। এছাড়া, এ ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের সবাইকেই জবাবদিহিতার আওতায় আনা হবে।