ঝালকাঠি থানা পুলিশের হাতে বর্তমানে ভূয়া ওয়রেন্টের ছড়াছড়িতে সাধারন মানুষের মধ্যে আতংক ছড়িয়ে পড়েছে। এ ব্যাপারে ভূক্তোভূগীর স্বজনরা পুলিশ প্রশাসনের উর্ধ্বতন মহলে ছোটাছুটি করেও কোন আইন সংগত সদুত্তর পাচ্ছে না।
বিনা কারনে ও মিথ্যা অভিযোগ সম্ভলিত এসব ভূয়া ওয়রেন্টের প্রতিকারে প্রশাসনের পক্ষ থেকেও কোন উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে না বলে ভূক্তো ভূগীরা অভিযোগ করেছে। তবে থানা ও আদালত কে ব্যবহার করে এহেন জালিয়াতীর ও ভূয়া ওয়ারেন্টে প্রশাসনের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারাও বিভ্রতকর পরিস্থিতির সম্মুখীন হচ্ছে বলে জানা গেছে।
ঝালকাঠিতে ঢাকার সিএমএম কোর্ট থেকে আসা ১টি ওয়ারেন্টে ১৮ অক্টোবর ঝালকাঠি সদরের বারইআরা গ্রামের মৃত মোজাহার আলীর ছেলে শহিদুল ইসলাম মিঠু (৩৫) কে গ্রেফতার করে পুলিশ থানা হাজতে রাখে। ঢাকার তেজগাঁও শিল্প অঞ্চল থানার দঃ বিঃ ৩৮৫, ৩৭৯, ৩২৬, ১০৯ ধারায় ৫০৬৩৭ (৭) ১৪ নং মামলায় এ ওয়ারেন্টটি জারী করা হয়েছে। চলতি বছরের জুলাই মাসে এ মামলাটি ঝালকাঠি আদালতে আসলে গত ১৬ অক্টোবর ঝালকাঠি থানায় প্রেরন করে।
উক্ত ওয়ারেন্ট বলে ১৮ অক্টোবর শহিদুল ইসলাম মিঠু কে পুলিশ আটকের পর ওই দিনই তার আত্মীয় স্বজন এ ওয়ারেন্টটি চ্যালেঞ্জ করেন। ঝালকাঠি থানা কর্তৃপক্ষ ঢাকার সিএমএম কোর্টে ও সংশ্লিস্ট থানায় খোঁজ নিয়ে জানতে পারে ৩২ নম্বরে কোন মামলা দায়ের হয়নি। জুলাই মাসে তেজগাঁও শিল্প অঞ্চল থানায় মামলা হয়েছে ২৯ টি। পরে থানা কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে শহিদুলকে পুলিশ থানা থেকে মুক্ত করে দেয়।
অন্যদিকে ঢাকার শেরে বাংলা নগর থানার দ:বি: ৩০২/২০১/৩৪ ধারায় ২১ (১১) /১১ নং মামলা এবং মহানগর দায়রা জজ আদালত থেকে দঃবিঃ ৩৮৫, ৩৮৬ ধারায় ৫/৬/১৪ তারিখ ৯৮৪ (২) ও ৯৮৪ নম্বর সমন অনুকুলে ২ মার্চ ২০১৪ তারিখ পোষ্ট অফিসের মধ্যমে এসপির কার্যালয় থেকে ঝালাকাঠি থানায় পৃথক ২ টি ওয়ারেন্ট আসে।
এতে সদর উপজেলার গাবখান-ধানসিড়ি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মরহুম মোজাম্মেল হক তালুকদারের ছেলে জেলা ছাত্রলীগ নেতা আবদুর রহিম তালুকদার রাকিব ও একই ইউনিয়নের যোগেশ্বর গ্রামের হামিদ হাওলাদারের ছেলে ইউপি সদস্য আল মামুন কে আসামী দেখানো হয়।
উভয় অভিযুক্ত এই ওয়ারেন্টের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ করে শেরে বাংলা নগর থানা ও মহানগর দায়রা জজ আদালতের সার্চিং দিয়ে নিশ্চিত হয় যে ওয়ারেন্টে দুইটি ভূয়া।
৩১ /৮/১৪ তারিখ মহানগর দায়রা জজ আদালত থেকে হাইকোট ফরম নং (এম) ৫৫ তে উল্লেখ করেন অত্র মামলার রেজিষ্টারে দেখা যায় যে উল্লেখিত আসামীদের নামে এধরনের কোন মামলায় নাই।
স্থানীয় পুলিশ সুপারের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার জন্য প্রায় দেড় মাস পূর্বে সংশ্লিষ্ট থানা ও আদালতে অবহিত করা হলেও সেখান থেকে অদ্যবধি কোন প্রতিউত্তর না আসায় ভূয়া ওয়ারেন্ট প্রাপ্তরা আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে।
তাদের অভিযোগ সম্প্রতি গাবখান-ধানসিড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ জাকির হোসেন তাদের হয়রানি করতে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধীদের সাথে আতাঁত করতে এভূয়া ওয়ারেন্টের সৃষ্টি করেছে।
যখন তখন সাধারন নিরীহ মানুষের নামে ভূয়া ওয়ারেন্টের প্রতিকার চেয়ে সাধারন মানুষ বিচার বিভাগ ও পুলিশ বিভাগের কাছে সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে জড়িতদের বিরুদ্ধে বিচারের দাবী জানিয়েছে।