বাংলাদেশ দলের ব্যাটসম্যানদের ব্যাটিং কিছুটা হলেও স্বস্তি দিয়েছে প্রস্তুতি ম্যাচে। শামসুর রহমান ফিফটি ও শুভাগত হোমের অপরাজিত ৫৩ রানে প্রধান নির্বাচক ফারুক আহমেদ খুশি। তবে ছোট্ট একটি আক্ষেপও আছে তার। তিনি বলেন, ‘ব্যাটিং খারাপ হয়েছে বলবো না, তবে ইনিংসটা লম্বা করা খুবই প্রয়োজন। তিনদিনের ম্যাচে ইনিংস লম্বা না হলে হয় না।’ গতকাল তিন দিনের ম্যাচের দ্বিতীয় দিনে বিসিবি একাদশ ১১ রান লিড নিয়েছে জিম্বাবুয়ের প্রথম ইনিংস টপকে। বিসিবি একাদশে জায়গা হয়েছিল জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে জাতীয় দলে থাকা শুভাগত হোম, শামসুর রহমান শুভ ও মার্শাল আইয়ুবের। আগের দিন ৪ রানে অপরাজিত থাকা শুভ গতকাল ১৫৮ বল খেলে করেন ৬৯ রান। আর শুভাগত হোম শেষ বিকালে নেমে অপরাজিত থেকে দিন শেষ করেন। মূলত রনি তালুকদার ও শামসুর রহমানের ৯৩ রানের জুটিই বড় সংগ্রহের ভিত গড়ে দেয়।  শেষ পর্যন্ত বিসিবি একাদশ দ্বিতীয় দিন শেষে সংগ্রহ করেছে ৬ উইকেট হারিয়ে ২৫২ রান। গতকাল অবশ্য দুই দলের সিদ্ধান্ত অনুসারে সর্বোচ্চ ৮০ ওভার পর্যন্ত খেলা হওয়ার কথা ছিল। বিশেষ করে জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক টেইলরই চাচ্ছিলেন না লম্বা সময় ধরে খেলতে। তার যুক্তি ছিল যে মূল ম্যাচের জন্য তাদের আরও একটু বিশ্রাম প্রয়োজন। শেষ পর্যন্ত দুই অধিনায়কের সিদ্ধান্তেই ওভার কমিয়ে খেলা হয়। 
আগের দিন ৫ ওভারে ১১ রান সংগ্রহ করেছিল বিসিবি একাদশ। গতকাল সকালে ৭ রানে অপরাজিত থাকা রনি তালুকদারকে নিয়ে বড় সংগ্রহের পথে হাঁটতে থাকে। কিন্তু তরুণ ব্যাটসম্যান রনি তালুকদার ব্যক্তিগত ৪৬ রানেই আউট হন মধ্যাহ্ন বিরতির মিনিট কয়েক আগে। এরপর শুভ আবারও ৪৮ রানের জুটি গড়েন মার্শাল আইয়ুবকে সঙ্গে নিয়ে। কিন্তু দলীয় ১৪৫ রানের সময় শুভও হাঁটেন সাজঘরের পথে। ১৫৮ বলে তিনি হাঁকান ৯টি চার ও একটি ছয়ের মার। তবে তরুণ লেগি মুসাংগির বলে বাজে শটে ক্যাচ দেন রাজার হাতে। এরপর দলের হাল ধরতে আসেন শুভাগত হোম। মার্শালের সঙ্গে তার জুটিটি ২৫ না পেরুতেই হঠাৎ আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠেন মার্শাল। ডাউন দা উইকেট মারতে এসে শুভর মতোই লেগ স্পিনার মুসাংগির বলে আরভিনকে ক্যাচ প্র্যাকটিস করিয়ে সাজঘরে ফিরেন তিনি। তার সংগ্রহ ৮২ বল খেলে ৩১ রান। তবে শেষ বিকালে আসিফ আহমেদকে নিয়ে ৪০ রানের জুটি গড়ে কিছুটা প্রতিরোধের চেষ্টা করেন শুভাগত। তবে সেই প্রতিরোধও ভাঙে মুসাংগিওর ছোবলে ২২ বলে ২৩ রান করা আসিফও ফিরেন সাজঘরে। শুভাগত তৈয়েবুর পারভেজের সঙ্গে দিন শেষ করেন ৩৬ রানের জুটি গড়ে। পারভেজ ১৫ ও শুভাগত হোমের সংগ্রহ ৭টি চারের মারে ৫৩ রান। 
বিসিবি একাদশের ব্যাটসম্যানও অনেকটা নাকাল হয়েছে জিম্বাবুয়ের স্পিনে। বিশেষ করে তরুণ  লেগস্পিনার মুসাংগিওই চেপে ধরেন বিসিবি একাদশের রানের চাকা। ২৮ ওভার বল করে ৯৮ রান দিয়ে তুলে নিয়েছেন ৪টি উইকেট। তবে এত ভাল পারফরমেন্সের পর  জিম্বাবুয়ের প্রধান কোচ তাকে প্রথম টেস্টের একাদশে রাখবেন কিনা তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। কারণ, তার ভয় বাংলাদেশ জাতীয় দলের ব্যাটসম্যানরা ভাল স্পিন খেলতে পারেন। আর তাদের সামনে এমন তরুণ বোলারকে নামানোটা উচিত হবে না।