এনায়েত মজুমদার,চাঁদপুর প্রতিনিধি-
শিশু মৃত্যুর ঘটনায় আজ বৃহস্পতিবার চাঁদপুর সদর হাসপাতালে ভাংচুর ও কর্মচারীদের মারধর করে ৪ জনকে আহত করা হয়েছে। এ ঘটনায় ডাক্তার-নার্সদের কর্মবিরতী পালনসহ প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
হাসপাতাল সুত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় চাঁদপুর নতুন বাজার গুণরাজদী এলাকার মজিব ভূঁইয়ার দুবছরের শিশুসন্তান সিয়াম পানিতে পড়ে যায়। তাকে দ্রুত চিকিৎসার জন্যে চাঁদপুর আড়াইশ’ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হলে কর্তব্যরত ডাক্তার সিরাজুল ইসলাম শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন। আত্মীয়-স্বজনরা সিয়ামের লাশ দাফনের জন্যে বাড়িতে নিয়ে যায়। এ সময় সিয়ামের মুখ দিয়ে লালা পড়তে দেখে সে জীবিত রয়েছে বলে তার আত্মীয়-স্বজনরা অনুমান করে চাঁদপুর সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ব্যাপক ভাংচুর করে ও কর্তব্যরত কর্মচারীদের মারধর করে আহত করে।
আহতরা হলেন আজমত উল্যাহ (৫৯), মফিজ পাটওয়ারী (৪৫), সাদেক আলী (৩৮) ও সালামত উল্যাহ। এ ঘটনায় তাৎণিক চাঁদপুর মডেল থানার পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।০১
এতে চাঁদপুর সদর হাসপাতালের ডাক্তার সিরাজুল ইসলাম জানান, সিয়াম নামের এক পানিতে পড়া শিশুকে চিকিৎসার জন্যে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে তাকে মৃত দেখতে পাই । পরে তার আত্মীয়-স্বজনরা সিয়াম জীবিত বলে ১০/১২ জন লোক নিয়ে এসে হাসপাতালে ভাংচুর ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ওপর হামলা করে। এ বিষয়ে ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতার ও তাদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি ঘোষণা করে বিএমএ সাধারণ সম্পাদক ডা. মাহমুদুন নবী মাসুম।
পরে দুপুর ১২টায় চাঁদপুর আড়াইশ’ শয্যার জেনারেল হাসপাতালের সম্মেলন কে হাসপাতালের মেডিকেল টেকনোলজিস্ট মালেক মিয়াজীর নেতৃত্বে কর্মকর্তা-কর্মচারী কল্যাণ সমিতির আয়োজনে কর্মচারী ও নার্সদের এক জরুরী বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন কর্মকর্তা-কর্মচারী কল্যাণ সমিতির সভাপতি সফিউল আলম। সাধারণ সম্পাদক আ. মালেক মিয়াজীর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সহ-সভাপতি কল্পনা দাস, খান মো. রিয়াজ, ফারুক আহমেদ, মো. ফারুকুল ইসলাম, আবু ইউসুফ, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ফয়েজ আহমেদ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক নারায়ণ চন্দ্র মজুমদার, সদস্য আবুল হাসেম প্রমুখ। সভায় সিদ্ধান্ত হয় ২৪ অক্টোবর শুক্রবারের মধ্যে ঘটনার সাথে জড়িতদের বিচার না হলে শনিবার পূর্ণাঙ্গ কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।