গাড়ি আমদানিতে দীর্ঘমেয়াদি নীতিমালা চায় বাংলাদেশ রিকন্ডিশন্ড ভেহিক্যালস ইম্পোর্টার্স অ্যান্ড ডিলার্স এসোসিয়েশন (বারভিডা)। গাড়ি ব্যবসায় গতি ধরে রাখার জন্য ঋণ ও শুল্ক নীতিমালা থাকা প্রয়োজন। এ জন্য কমপক্ষে তিন বছরের নীতিমালা করার দাবি জানান প্রতিষ্ঠানটির সভাপতি মো. হাবিব উল্লাহ ডন। বারভিডার ২০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে গতকাল রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য দেন বারভিডা’র মহাসচিব মাহবুবুল হক চৌধুরী বাবু। এ সময় সংগঠনের অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশে রিকন্ডিশন্ড গাড়ির ব্যবসা ৩৭ বছর ধরে চলছে। তবে এর যাত্রা শুরু হয় ১৯৯৪ সালে। আগামী ১লা নভেম্বর ২০ বছর পূর্তি হবে। ওই দিন সকাল ১০টায় হাতিরঝিলে এ যাবৎ আমদানি করা বিভিন্ন মডেলের রিকন্ডিশন্ড মোটরগাড়ির র্যালি অনুষ্ঠিত হবে। র্যালি উদ্বোধন করবেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এছাড়া সন্ধ্যা ৬টায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আলোচনা সভা, সংগীতানুষ্ঠান ও নৈশভোজের আয়োজন করা হয়েছে। সভায় প্রধান অতিথি থাকবেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এবং সংগীতানুষ্ঠানে আসছেন ভারতের খ্যাতনামা শিল্পী মিতালী মুখার্জি। বারভিডা’র সভাপতি বলেন, দেশে সড়ক দুর্ঘটনা এড়াতে চালকদের প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। বাজারে কেবল গাড়ি বিক্রিতে সীমাবদ্ধ থাকবেন না। দুর্ঘটনা এড়াতে গাড়ি চালকদের প্রশিক্ষণ দিতে ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠায় কাজ করছে বারভিডা। এছাড়াও বারভিডা ফাউন্ডেশন করা হবে। তিনি জানান, বারভিডা মধ্যবর্তী পরিবারের জন্য গাড়ি আমদানি করছে। আমদানি করা গাড়ির ৯৮% জাপানি। এগুলো খুবই মজবুত ও অনায়াসে ২০ বছর চলতে পারে। তবে দেশে বেসরকারি খাতে ভাল গণপরিবহনের ব্যবস্থা নেই। এ জন্য তিনি আগামীতে কমার্শিয়াল গাড়ি আমদানিতে সুযোগ দেয়ার আহ্বান জানান। মাহবুবুল হক চৌধুরী বলেন, ২০০৯-১০ অর্থবছরে ৩২,৩০০ গাড়ি আমদানি থেকে সরকার ৩২০০ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করেছে।
তবে ২০১১-১২ অর্থবছরে বাংলাদেশ ব্যাংকের ঋণ নীতিমালা নিয়ে এক প্রজ্ঞাপনে এ খাতে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। এ কারণে ওই বছরে সাড়ে ৭ হাজার গাড়ি আমদানি হওয়ায় সরকার মাত্র ৮০০ কোটি টাকা রাজস্ব পায়। তবে ২০১৩-১৪ অর্থবছরে ঋণ নীতিমালা কিছুটা নমনীয় হওয়ায় গাড়ি আমদানি হয়েছে ১৪ হাজার ৮২৩টি। এতে সরকারের রাজস্ব বেড়ে হয়েছে ১ হাজার ৮৮৫ কোটি টাকা।