ন্যাশনাল ফিড মিলস লিমিটেডে দীর্ঘ চার বছর ধরে অপ্রত্যাশিতভাবে কমেছে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) ও শেয়ারপ্রতি সম্পদ (এনএভিপিএস)। চার বছরে কোম্পানির ইপিএস কমেছে ২৪.৫৮ গুণ এবং এনএভিপিএস কমেছে ১২.৮৪ গুণ। পুঁজিবাজারের ইতিহাসে এ পরিমাণ ইপিএস ও এনএভিপিএস কমা কোম্পানির প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) অনুমোদন বিরল ঘটনা বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। তারা বলেন, কোম্পানির ইপিএস ও এনএভিপিএস কম বা বেশি হতে পারে। কিন্তু একটানা ৪ বছর ইপিএস ও এনএভিপিএস কমতে থাকা স্বাভাবিক ঘটনা নয়। এমনিতে বহু কষ্টে পুঁজিবাজার ঊর্ধ্বমুখীতে এগোচ্ছে। তার মধ্যে এ ধরনের টানা ইপিএস ও এনএভিপিএস কমে যাওয়া কোম্পানির অনুমোদন নিয়ে বিনিয়োগকারীদের ভাবিয়ে তুলেছে। ভাল পারফরমেন্সের ওপর ভিত্তি করেই নির্ধারণ করা হয় আইপিও অনুমোদন। কিন্তু এ ক্ষেত্রে ঘটে উল্টোটা। বিনিয়োগকারীরা জানান, কোম্পানির প্রসপেক্টাসে ২০১৩ সমাপ্ত বছরে ইপিএস দেখানো হয়েছে ১.৮৫ টাকা। যা আগের বছর ছিল ২.৩৯ টাকা। আর ২০১১ ও ২০১০ সালে ইপিএস ছিল যথাক্রমে ২.৪৪ টাকা ও ৪৫.৪৯ টাকা। আবার সমাপ্ত বছরে এনএভিপিএস হয়েছে ১৪.৫৫ টাকা। যা আগের বছর ছিল ১৭.৭৮ টাকা। আর ২০১১ ও ২০১০ সালে এনএভিপিএস ছিল যথাক্রমে ১৫.১৭ টাকা এবং ১৮৬.৯২ টাকা। ইপিএস ও এনএভিপিএস কমা সত্ত্বেও কোম্পানিটি আইপিওতে অনুমোদন পেয়েছে। ন্যাশনাল ফিড কোম্পানিকে অনুমতি দেয়া বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) এতটা উদারতার কারণ কি- এমন প্রশ্ন বিনিয়োগকারীদের। এ প্রসঙ্গে কোম্পানির সচিব আরিফুর রহমান জানান, সর্বশেষ ২০১৩ সালে ইপিএস হয়েছে ১.৮৫ টাকা। যা ২০১০ সালে ছিল ৪৫.৪৯ টাকা। আগের বছরগুলোয় কোম্পানি আয় বেশি ছিল। বর্তমানে কিছুটা ঘাটতিতে রয়েছে। তার পরও সর্বশেষ বছরে ১০% ক্যাশ লভ্যাংশ দিয়েছি। এদিকে সমাপ্ত বছরের এনএভিপিএস ১৪.৫৫ টাকা। যা ২০১০ সালে ছিল ১৮৬.৯২ টাকা। তবে আইপিওর পর আয় বাড়বে বলে জানান তিনি।