ফিটনেসবিহীন গাড়ি ও লাইসেন্সবিহীন চালকদের বিরুদ্ধে আগামী ১০ই নভেম্বর থেকে দেশব্যাপী বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। সেই সঙ্গে সারা দেশে বিআরটিএ’র কার্যালয়ে সেবা গ্রহীতাদের হয়রানি, দালাল ও প্রতারকদের দৌরাত্ম্য বন্ধে বিশেষ অভিযানও পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। রোববার বিআরটিএ’র প্রধান কার্যালয়ে সড়ক নিরাপত্তা, সড়ক পরিবহন ও বিআরটিএ’র সার্বিক কার্যক্রমবিষয়ক এক সমন্বয় সভায় তিনি এ তথ্য জানান।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিদ্যমান মোটরযান অধ্যাদেশ ১৯৮৩-এর পরিবর্তে যুগোপযোগী সড়ক পরিবহন আইন ২০১৪ প্রণয়ন করা হচ্ছে। আইনের খসড়াটি আগামী তিন মাসের মধ্যে মন্ত্রিসভায় উপস্থাপনের জন্য পাঠানো হবে। এর আগে মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সভায় আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা এবং অংশীদারদের সঙ্গে আলোচনা করা হবে। প্র্রস্তাবিত খসড়ায় আইন লঙ্ঘনে সড়ক পরিবহন সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে জরিমানা ও শাস্তি বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।
সভা শেষে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী আরো বলেন, সারা দেশে বিআরটিএ’র অফিস চত্বর থেকে দালাল প্রতিরোধ কার্যক্রমের আওতায় ইতিমধ্যে বেশ কিছু দালাল ও প্রতারককে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও বিভিন্ন পরিমাণে অর্থদণ্ড দেয়া হয়েছে।
সভায় জানানো হয়, নাটোরের বড়াইগ্রামে সমপ্রতি মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনার পর গত ২৩শে অক্টোবর কল্যাণপুরে কেয়া পরিবহনের বাসডিপোতে বিআরটিএ বিশেষ অভিযান চালায়। এতে কেয়া পরিবহনের ১৫টি ফিটনেসবিহীন গাড়ির জন্য প্রায় এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া, কেয়া পরিবহনের নির্বাহীকে দুই মাসের কারাদণ্ড এবং সাত হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও এক মাসের কারাদণ্ড দেয় ভ্রাম্যমাণ আদালত। ওই দুর্ঘটনার জন্য হানিফ পরিবহনের বিরুদ্ধেও আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে বলে সভায় জানানো হয়েছে। সভায় বিআরটিএ’র চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলামসহ মন্ত্রণালয় ও বিআরটিএ’র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।