কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি এডভোকেট ফজলুর রহমানকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে ঢাকায় হযরত শাহজালাল বিমান বন্দরে অবতরণের পর কিশোরগঞ্জ আদালতে আত্মসমর্পণ করা পর্যন্ত কোন ধরনের হয়রানি না করার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী এবং বিচারপতি আশরাফুল কামালের হাইকোর্ট বেঞ্চ গতকাল এ আদেশ দেয়। ফজলুর রহমানের স্ত্রীর দায়ের করা এক রিট আবেদন নিষ্পত্তি করে হাইকোর্ট এ আদেশ দেয়। রিট আবেদনের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন ড. কামাল হোসেন। প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে বক্তব্য দেয়ার কারণে ফজলুর রহমানের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা দায়েরের বিষয়টি উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশে এখন প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী সকল বক্তব্যের ঊর্ধ্বে। আমাদের দেশের গণতন্ত্র এখন এই পর্যায়ে এসে পৌঁছেছে। তিনি বলেন, ফজলুর রহমান ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন, তিনি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং সাবেক সংসদ সদস্য। তিনি বর্তমানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। তিনি আশঙ্কা করছেন ঢাকায় বিমান বন্দরে নামলেই তাকে হয়রানির শিকার হতে হবে। এ অবস্থায় তিনি যেন আদালতে নির্বিঘ্নে আত্মসমর্পণ করতে পারেন এব্যাপারে নির্দেশনা প্রয়োজন। অতীতে এ ধরনের প্রেক্ষাপটে একুশে টিভির চেয়ারম্যানের মামলায় হাইকোর্টের আদেশের বিষয়টিও তিনি তুলে ধরেন। ড. কামাল হোসেনকে শুনানিতে সহযোগিতা করেন এডভোকেট শেখ আখতারুল ইসলাম, এডভোকেট উম্মে কুলসুম ও এডভোকেট এটিএম আলমগীর। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু। গত ১৯শে মার্চ কিশোরগঞ্জে নিজ নির্বাচনী এলাকা ইটনায় এক জনসভায় প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনা করেন ফজলুর রহমান। এ ঘটনায় মো. আলী হোসেন নামে এক ব্যক্তি ফজলুর রহমানের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ এনে ইটনা থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। জিডি এন্ট্রি করার পরে তার ওপর ভিত্তি করে ১৮ই আগস্ট চার্জশিট দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন সাপেক্ষে সাধারণ ডায়েরিটি পরে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় রূপান্তরিত হয়। যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করা ফজলুর রহমানের বিরুদ্ধে এ মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।