ইচ্ছা করে কাউকে কামড়ান না বরং এমনিতেই কামড় চলে আসে বলে জানালেন লুইস সুয়ারেজ। আর এই ঝোঁক নিয়ন্ত্রণের জন্য তিনি সাহায্য চেয়েছেন। এই মওসুমে শুরুতে ৭৫ মিলিয়ন পাউন্ডে ইংলিশ ক্লাব লিভারপুল থেকে স্প্যানিশ ক্লাব বার্সেলোনায় যোগ দিয়েছেন তিনি। বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বে ইতালির ডিফেন্ডার জর্জিও কিয়েলিনিকে কামড় দিয়ে চার মাস নিষিদ্ধ হন উরুগুয়ের এই স্ট্রাইকার। নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে শনিবার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদরে বিপক্ষে এল-ক্লাসিকোয় ফিরেছেন। তবে এই ম্যাচে মাঠে নামার আগে নিজের কামড়কাণ্ডের সরল ব্যাখ্যা দিলেন। ক্যারিয়ারে তিনি তিনবার প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়কে কামড় দিয়েছেন। সর্বপ্রথম ২০১০ সালের নভেম্বরে পিএসভি’র খেলোয়াড় ওটমান বাক্কালকে কামড় দেন। তখন আয়াক্সের এ স্ট্রাইকারকে ৭ ম্যাচ নিষিদ্ধ করা হয়। ২০১৩ সালের এপ্রিলে একই ঘটনা ঘটান। সেবার ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগে তার কামড়ের শিকার হন চেলসি ডিফেন্ডার ব্রানিস্লাভ ইভানোভিচ। লিভারপুলের এ খেলোয়াড়কে তখন নিষিদ্ধ করা হয় ১০ ম্যাচ। আর সর্বশেষ কিয়েলিনিকে কামড় দিয়ে নিষিদ্ধ হন চার মাস। এবার নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে মাঠে ফেরার আগে সুয়ারেজ এটাকে ‘ঝোঁক’ বলে অভিহিত করলেন। ইচ্ছাকৃত নয়, বরং রাগ ও টেনশন ভর করলে এমনিতেই তিনি এটা করে ফেলেন বলে জানালেন। বলেন, ‘এটা আসলে একটি ঝোঁক ও প্রতিক্রিয়ার বহিঃপ্রকাশ। প্রত্যেকেরই তার রাগ ও ক্ষোভ প্রকাশের একটা রূপ আছে। আমার যখন রাগ হয়ে যায় কিংবা দুশ্চিন্তা কাজ করে তখন এই কামড় এমনিতেই চলে আসে। ইচ্ছা করে এটা আমি করি না।’ তবে এটা যে ভুল, তা স্বীকার করতে কুণ্ঠা করেননি তিনি। বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, আমি যা করেছি তা ভুল। রাগ করে কখনও কেউ প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়ের পা কিংবা নাক ভেঙে দেয়। আর আমার ক্ষেত্রে ঘটে ব্যতিক্রমী এই ঘটনা। কিয়েলিনি ও অন্যদের সঙ্গে যা ঘটেছে তা সত্যিই ভুল। তবে এ থেকে উত্তরণের জন্য আমি সাহায্য চাই।’ তবে একটা বিষয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছেন সুয়ারেজ। তিনি অনিচ্ছাকৃত কামড় দিলেও এটা বর্ণবাদী আচরণ নয় বলে দাবি করেন। বলেন, ‘আমি জানি- যা করেছি তা ভুল। তবে অনেকে এটাকে বর্ণবাদী আচরণ বলেন। কোন প্রমাণ ছাড়া এমন কথা বলায় আমি খুবই কষ্ট পাই।’