এসএসসি পরীক্ষায় বিরতি রাখার পক্ষে মত দিয়ে প্রস্তাব পাঠিয়েছে শিক্ষা বোর্ড। এর পক্ষে-বিপক্ষে দেশের নাগরিকদের কাছ থেকে মতামত চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। গতকাল মন্ত্রণালয়ের এক খসড়ায় জানানো হয়, সোমবার থেকে আগামী ১লা নভেম্বর পর্যন্ত ফংথংবপ১@সড়বফঁ.মড়া.নফ এ ই-মেইলে মতামত পাঠানো যাবে। আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তাসলিমা বেগম জানান, আমরা এসএসসির পরীক্ষার সম্ভাব্যসূচি ঠিক করে তা মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি, মন্ত্রণালয় চূড়ান্ত সূচি ঠিক করবে। মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তে আমরা এ সূচি ঠিক করেছি।
প্রস্তাবিত সময়সূচিতে দেখা যায়, আগামী বছর ২রা ফেব্রুয়ারি এসএসসি পরীক্ষা শুরু হয়ে তত্ত্বীয় বিষয়ের পরীক্ষা চলবে ১০ই মার্চ পর্যন্ত। ১১ই মার্চ সঙ্গীতের ব্যবহারিক পরীক্ষা এবং ১২ থেকে ১৬ই মার্চের মধ্যে অন্য সব বিষয়ের ব্যবহারিক পরীক্ষা নেয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। অর্থাৎ এবার ৩৯ দিনে এসএসসির তত্ত্বীয় বিষয়ের পরীক্ষা নেয়ার প্রস্তাব করেছে।
এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব (মাধ্যমিক-১) এনামুল কাদের বলেন, সচিবের নির্দেশেই আমরা সময়সূচি চূড়ান্তের আগে মতামত চেয়েছি। এবার এসএসসি পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ ওঠে। একই অভিযোগে এইচএসসি পরীক্ষায় ইংরেজি পরীক্ষায় স্থগিত করতে বাধ্য হয় ঢাকা শিক্ষা বোর্ড। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত ২রা জুলাই শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ জানিয়েছিলেন, পাবলিক পরীক্ষার মধ্যে সরকারি ছুটির দিন ছাড়া অন্য কোন বন্ধ রাখা হবে না। দেড় মাস ধরে পরীক্ষা নেয়া আর সম্ভব না। আমরা পাঁচ দিনে পরীক্ষা দিয়েছি। অবশ্যই পরীক্ষা পদ্ধতি বদলাতে হবে। পরীক্ষার মধ্যে বন্ধ ছাড়া অন্য কোন গ্যাপ থাকবে না। তার এ ঘোষণায় শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষাসংশ্লিষ্টরা মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখায়। এর প্রতিবাদ বিভিন্ন কর্মসূচিও পালন করেন তারা। সমালোচনার মুখে ৫ দিন পর ৭ই সেপ্টেম্বর শিক্ষামন্ত্রী সংসদে জানান, বিরতিহীন পরীক্ষা নেয়ার বিষয়টি সরকারের পর্যালোচনায় রয়েছে। এ নিয়ে বিতর্ক করার কিছু নেই।