জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য রাজশাহী অঞ্চল প্রধান ও সাবেক মহানগর আমীর আতাউর রহমানসহ ২৬ নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। হরতাল শুরুর আগেই বুধবার মধ্যরাত থেকে বৃহস্পতিবার ভোর পর্যন্ত নগরীর বিভিন্নস্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে পুলিশ। এদিকে হরতালের সমর্থনে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা। এসময় পুলিশের সাথে জামায়াত-শিবির কর্মীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষ্যদর্শীরা জানান, জামায়াতের আমির মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীর ফাঁসির রায়ের প্রতিবাদে ডাকা প্রথম দফা হরতালের শুরুতে বৃহস্পতিবার সকাল ৭টায় নগরীর উপকণ্ঠ কাটাখালী বাজার থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে জামায়াত-শিবির। এসময় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে তারা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাদের ছত্রভঙ্গ করতে বাবার বুলেট ও টিয়ার শেল ছুঁড়ে। জবাবে হরতাল সমর্থকরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। পরে পুলিশ শর্টগানের গুলি ও টিয়ারশেল ছুড়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এরআগে নগরীর হাদির মোড় এলাকায় হরতালের সমর্থনে মিছিল বের করে জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীরা। এসময় তারা টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করে। খবর পেয়ে র্যাবের একটি টহল দল সেখানে পৌঁছার আগেই হরতাল সমর্থকরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। এছাড়া হরতালের সমর্থনে নগরীর বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে জামায়াত-শিবির কর্মীরা বিক্ষিপ্তভাবে ঝটিকা মিছিল করেছে।
এদিকে হরতালের কারণে রাজশাহী থেকে দূরপাল্লা ও আন্তঃজেলা রুটের কোন বাস-ট্রাক ছেড়ে যায়নি। তবে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক ছিলো। সীমিত আকারে হালাক যানবাহন চলাচল করেছে। তবে বন্ধ রয়েছে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।
মহানগর পুলিশ কমিশনার ব্যারিস্টার মাহবুবুর রহমান আটককের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, জামায়াত নেতা আতাউর রহমানের বিরুদ্ধে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়সহ নগরীর বিভিন্ন এলাকায় নাশকতা সৃষ্টির অভিযোগ রয়েছে। তাকে হরতাল শুরুর আগেই আটক করে পুলিশ হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। এছাড়া তার বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। বাকিদের বিরুদ্ধেও আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।