আবুধাবি টেস্টের প্রথম ইনিংসে অস্ট্রেলিয়া যখন ২৬১ রানে অলআউট হলো, পাকিস্তানের লিড তখন ৩০৯ রানের। মিসবাহ-উল-হক চাইলেই ফলো-অন করাতে পারেন অস্ট্রেলিয়াকে। কিন্তু ‘ঝুঁকি’টা নিলেন না পাকিস্তান অধিনায়ক। হাঁটলেন নিরাপদ পথেই। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত মিসবাহর।
এতে পরিষ্কার, অস্ট্রেলিয়ার সামনে পর্বতসম লক্ষ্য দিতে চায় পাকিস্তান। যেটা পেরোতে গেলে ইতিহাসই গড়তে হবে মাইকেল ক্লার্কের দলকে। এরই মধ্যে পাকিস্তান লিড পেয়ে গেছে ৩৭০ রানের। এতে জয়ের আরেকটু কাছে চলে গেল পাকিস্তান। এ ম্যাচ জিতলে তো বটেই, ড্র হলেও ২০ বছর পর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজ জিতবে পাকিস্তান।
দ্বিতীয় ইনিংসে তৃতীয় দিন শেষে ২ উইকেটে তুলেছে ৬১ রান। উইকেটে আছেন ধারাবাহিকতার প্রতিচ্ছবি আজহার আলী ও ইউনিস খান। আজহার অপরাজিত ২১ ও ইউনিস ১৬ রানে। দুটি উইকেটই নিয়েছেন মিচেল জনসন।
গত দিনের ১ উইকেটে ২২ রানে খেলতে নেমে আজ পাকিস্তানের পেস ও স্পিন বোলিংয়ের যৌথ আক্রমণে টালমাটাল অস্ট্রেলিয়া। ১০০ রানেই ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলে অস্ট্রেলিয়া। ধাক্কা সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন ক্লার্ক-মিচেল মার্শ। দুজনের ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে আসে ৬৪ রান। এ জুটি ভাঙেন ইমরান খান। ক্লার্ক ৪৭ রানে ফিরে গেলে আবারও বিপর্যয়ে পড়ে অস্ট্রেলিয়া। নবম উইকেট জুটিতে পিটার সিডলের সঙ্গে মার্শ ৬২ রান না তুললে অস্ট্রেলিয়ার ২০০ রান হয় কি না, সন্দেহ! কাঁটা হয়ে বিঁধে থাকা মার্শকেও ফেরান ইমরান। ফেরার আগে এ ডানহাতির সংগ্রহ সর্বোচ্চ ৮৭ রান। পাকিস্তানের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট ইমরানের সংগ্রহে। সূত্র: ক্রিকইনফো