মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান , ডিভিএম , হাবিপ্রবি ,দিনাজপুর।
সামনে আসছে শীতকাল , ঋতুর পরিবর্তনের সাথে সাথে এর প্রভাব পড়ে দেহ ও মনে । নানা ধরনের পরিস্থিতির স্বীকার হতে হয় অনেককে । আর শীতকালে যে বিষয় টি সবচেয়ে বিরক্তি কর তা হলো কাশি । সে সময় অনেকেরই অল্পতেই ঠান্ডা লেগে শুরু হয় ।হয়তো বাইরে বের হওয়ার সময় ভালোভাবে শীতের পোষাক পরিধান না করা অথবা গোসলের একটু অনিয়ম হলেই শুরু হয় কাশি । আর কাশির মধ্যে সবচেয়ে বিরক্তিকর কাশি হচ্ছে শুকনো কাশি । অনেক সময় শত চেষ্টা করেও নিয়ন্ত্রন করা কঠিন হয়ে যায় । আর কাশির জন্যে প্রচলিত ওষুধ খেলে মাথাব্যাথা , ঝিমঝিমানী সহ আরও অনেক পার্শ্ব পতিক্রিয়ার কবলে পড়তে হয় ।
অথচ আপনার হাতের নাগালে পাওয়া যায় এমন কিছু মহা মুল্যমান উপাদান । যা আপনাকে এমন শুকনো কাশি থেকে মুক্তি দিয়ে শান্তি নিশ্চিত করতে পারে । আপনি নিজেই পারেন একটু কষ্ট করে সেই উপাদানগুলোর সমন্বয়ে কাশির নিরাময়ক তৈরি করতে । যা আপনার দুর্দিনের সঙ্গী হিসেবে সাহায্য করবে ।
কাশির নিরাময়ক তৈরি করা খুবই সহজ । আর এর উপাদান গুলো খুবই সহজ লভ্য ও দামেও অল্প । মাত্র তিনটি উপাদান লাগবে এই নিরাময়ক তৈরিতে ।
১। মধুঃ যা সব রোগের মহা ওষুধ । এবং শরীরের জন্যে উত্তম পানীয় ।
২। আদাঃ যার আছে বহুরুপি উপকারি গুন
৩। লেবুঃ যা সব কাজের কাজী ।
প্রথমে একটা পরিস্কার কাচের বোতলে খাটি মধু নিতে হবে । তার পর আদা পরিষ্কার করে ছোট ছোট পিস করে সে মধুতে যোগ করতে হবে এবং পরিস্কার তাজা লেবু ছোট ছোট করে কেটে তার মধ্যে দিতে হবে ( লেবুর রসও ব্যবহার করা যাবে )। তার পরে মিশ্রন টা ভালো করে নাড়তে হবে যেন একটার সাথে আর একটা উপাদান ভালো ভাবে মিশে যেতে পারে । মুখ বন্ধ করে তা ফ্রিজে রেখে দিন প্রায় ২৪ ঘন্টার মত । বাস তৈরি হয়ে গেলো আপনার কাঙ্খিত দাওয়ায় ।
সেবন বিধিঃএবার সেবনের পালা ফ্রিজ থেকে বের করে হালকা কুসুম কুসুম গরম পানিতে ২ চা চামুচ মিশ্রনটি মিশেয়ে পান । দিনে তিন/ চার বার । যত দিন পুরোপুরি ভালো না হয় । প্রাকৃতির এই তিনটা উপাদান তাদের যৌথ প্রচেস্টায় আপনার শুকনো কাশি নিরাময় নিশ্চিত করে, ফিরিয়ে দিবে আপনার প্রশান্তি ।।
তবে একটা বিষয় বলে রাখা ভালো আপনার কাশি যদি খুব বেশী ও বিরক্তিকর হয় এবং তা তৈরি হওয়া পর্যন্ত থাওমতে কস্ট হয় । তাহলে লবঙ্গ ( লং) মুখে নিয়ে রাখতে পারেন । এটা আপনাকে অনেকটা প্রশান্তি দিবে ।
এভাবে প্রাকৃতিক উপাদান নিজেই তৈরি করে যেমন পাবেন দ্রুত কাশি থেকে মুক্তি ও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার কবল থেকে রক্ষা ।
(সুত্রঃ ইন্টারনেট)