দুজনের সম্পর্কটা অনেক পুরোনো। বয়সভিত্তিক ক্রিকেট থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও পথচলা শুরু প্রায় একই সময়ে। কিন্তু মজার ব্যাপার হলো, টেস্টে সাকিব আল হাসান আর তামিম ইকবালের জুটি খুব বেশিবার হয়নি। দুজনেরই এটি ৩৬তম টেস্ট। দুজন মিলে খেলেছেন ১৩৭টি ইনিংস। কিন্তু এর আগে মাত্র তিনটি জুটি হয়েছে দুজনের!
খুলনা টেস্টের প্রথম দুই দিনে এ রকমই আরও কিছু কৌতূহল জাগানিয়া পরিসংখ্যান জেনে নিন—
* সাকিব-তামিমের আগের তিনটি জুটি ছিল ৩৮, ৪ ও ৪২ রানের। সেঞ্চুরি জুটি তাই এই প্রথম (১৩২)। শুধু টেস্ট নয়, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেই ৩৩ ইনিংস একসঙ্গে ব্যাট করে দুজনের প্রথম সেঞ্চুরি জুটি এটি।
* বাংলাদেশের সবচেয়ে মারকুটে ব্যাটসম্যান ভাবা হয় তাঁকে। সেই তামিমের ব্যাট থেকেই এল বাংলাদেশের পক্ষে টেস্টে মন্থরতম সেঞ্চুরিটি। ভাই নাফিস ইকবালের রেকর্ড ভেঙে দিয়েছেন তামিম। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই ৩০৯ বলে সেঞ্চুরি করেছিলেন নাফিস। তামিমের লাগল ৩১২ বল।
* সময়ের হিসাবেও এটি বাংলাদেশের পক্ষে সবচেয়ে ধীরতম সেঞ্চুরি। তামিম সেঞ্চুরি করতে সময় নিয়েছেন ৭ ঘণ্টা ২০ মিনিট। নাফিসের লেগেছিল ৬ ঘণ্টা ৪৪ মিনিট।
* ১৩৭ রানের ইনিংসে ১৮টি চার মেরেছেন সাকিব, টেস্টে এক ইনিংসে তাঁর সর্বোচ্চ চার। আগের সর্বোচ্চ ছিল ১৫টি চার, ২০১১ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে ১৪৪ ও ২০১০ সালে হ্যামিল্টনে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দুই ইনিংসে ১০০ ও ৮৭ রানের ইনিংসে।
* টেস্টে চারের ট্রিপল সেঞ্চুরি হলো কাল সাকিবের। এই ইনিংসের ১৮ চারে ৬৮ ইনিংসে সাকিবের মোট চার এখন ৩০৪টি। ১০ ইনিংস বেশি খেলে মুশফিকের চার ৬টি বেশি, ৬৯ ইনিংসে তামিমের চার ৩২৮টি। ১১৯ ইনিংসে ৩৩৫টি চার মেরেছেন মোহাম্মদ আশরাফুল। বাংলাদেশের পক্ষে টেস্টে চার শর বেশি চার মেরেছেন কেবল হাবিবুল বাশার, ৯৯ ইনিংসে ৪০১টি।
* ১০ বা তার বেশি বার ৫ উইকেটে নেওয়ার পাশাপাশি কমপক্ষে তিনটি সেঞ্চুরি করা অষ্টম ক্রিকেটার সাকিব। আগের ৭ জন—রিচি বেনো, ইয়ান বোথাম, ইমরান খান, কপিল দেব, ওয়াসিম আকরাম, ক্রিস কেয়ার্নস ও ড্যানিয়েল ভেট্টোরি।
* বাংলাদেশের এক ইনিংসে একাধিক সেঞ্চুরি হলো এই নিয়ে পঞ্চমবার।