প্রতিবছর টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়।টঙ্গীর আদলেই পর্যটন নগরী কক্সবাজারে দ্বিতীয় বারের মতো অনুষ্ঠিত হচ্ছেইজতেমা। তিনদিন ব্যাপী এ ইজতেমা আজ থেকে শুরু হচ্ছে। কক্সবাজার শহরেরনিরিবিলি স্থান পর্যটন গলফ্ মাঠের এ ইজতেমা চলবে আগামী ৮ নভেম্বর পর্যন্ত।মুসলামনদের আকর্ষণীয় এ অনুষ্ঠান সুষ্ঠুভাবে সম্পন্নের জন্য বিগত এক সপ্তাহধরে চলেছে প্রস্তুতির কর্মযজ্ঞ।
ইজেতমার জিম্মাদার মুফতি মোরশেদুল আলম জানান, রাজধানী ঢাকার টঙ্গিতে বিশ্বইজতেমা পাশাপাশি সারাদেশের বিভিন্ন জেলায় প্রতিবছর ১০-১২টি মিনি ইজতেমারআয়োজন করা হয়। বিশ্ব ইজতেমা শুরু হওয়ার মাস দু’এক আগে শুরু হয় এসব মিনিইজতেমা। এরই ধারাবাহিকতায় ঢাকা কাকারা মসজিদের তাবলীগ জামায়াতেরমুরুব্বিদের সিদ্ধান্ত ও নির্দেশনায় দীর্ঘদিন পর কক্সবাজারে অনুষ্ঠিত হচ্ছেইজতেমার দ্বিতীয় আসর। এর আগে ২০০৪ সালে কক্সবাজার শহরের বাসটার্মিনালসংলগ্ন নারকেল বাগানে ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
তিনি জানান, তিন লাখ লোকের সমাগমের টার্গেট নিয়ে ইজতেমার অবকাঠামো তৈরি করাহয়েছে। বিগত এক সপ্তাহ ধরে তাবলীগ জামাতের কর্মীসহ অনেক লোক এ অবকাঠামোতৈরিতে নিরলস কাজ করেছেন। এরই মধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে অনেকধর্মপ্রাণ মুসলিম ইজতেমায় যোগ দিয়েছেন। আজকের মধ্যে অন্যান্যরা চলে আসবেন।বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকেও বিপুল লোকজন ইজতেমায় সমবেত হবে বলে জানিয়েছেনতিনি।
মুফতি মোরশেদুল আলম আরো জানান, মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর নিকট গুনাহ মাফচেয়ে আল্লাহর সন্তুষ্টি ও নৈকট্য লাভের আশায় ধর্মপ্রাণ মুসলমান ইজতেমায়শরিক হন। বাংলাদেশের বড় বড় বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ ও আলেমগণ ৩ দিন ব্যাপীএই ইজতেমায় মূল্যবান বয়ান দেবেন। এছাড়াও পাকিস্তান, ভারত, ইন্দোনেশিয়াসহবিভিন্ন দেশের অনেক প্রখ্যাত বক্তা ইজতেমায় বয়ান দেবেন।
ময়দানের দায়িত্বে থাকা হাফেজ আবু বকর জানান, আগত মুসুল্লীদের সুবিধার্থেইজতেমার ময়দানের পাশে ৩’শ পরিবেশ সম্মত টয়লেট স্থাপন করা হচ্ছে। এসবটয়লেটের পানি সরবরাহের জন্য ১৫ টির অধিক নলকূপ স্থাপন করা হয়। ময়দানের উভয়পাশে স্থাপন করা হচ্ছে অসংখ্য ওযুখানা। আর ময়দানের পশ্চিম পাশে তৈরী করা হয়একটি বড় মঞ্চ। আর বিশাল প্যান্ডেলে সমাগম ঘটবে লক্ষাধিক মুসল্লির ।
ইজতেমা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্নের জন্য ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে প্রশাসন।অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) জাফর আলমের তত্ত্বাধানের গঠন করা হয়েছেতত্ত্বাধান কমিটি।
পুলিশের পক্ষ নেয়া হয়েছে কঠোর নজরদারী। বিপুল সংখ্যক i¨ve ও পুলিশ সদস্যপুরো ময়দানকে ঢেকে রাখবেন। পাশপাশি সাদা পোশাকেও আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যরানজরদারী রাখবেন।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) জাফর আলম বলেন, ‘দেশের পরিস্থিতি সামান্যখারাপ থাকলেও তার কোন প্রভাব পড়বে না কক্সবাজারের ইজতেমায়। সে ভাবে সকলপ্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।’
পুলিশ সুপার শ্যামল কান্তি নাথ বলেন, ‘ বৃহত্তর এ ইজতেমার সার্বিকনিরাপত্তার জন্য সব ধরণের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিতকরতে পুলিশ ছাড়াও i¨ve, আমর্ড পুলিশ, আনসার ও গোয়েন্দা সংস্থার বিপুলসংখ্যক সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। ইজতেমা চলাকালীন সময় থেকে আগত মুসল্লীদেরনিরাপদ ও শান্তিপূর্ণ প্রস্থানে পর্যন্ত আমরা Zrci থাকবো।’