কোনো চিকিৎসক এবং নার্স ছাড়াই বেসরকারি হাসপাতাল চালানোর অভিযোগে ভ্রাম্যমাণ আদালতে রাজশাহী নগরের আল মদিনা নার্সিং হোম নামের একটি প্রতিষ্ঠানের ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অনিয়মের অভিযোগে আরও দুটি রোগনির্ণয় কেন্দ্রেরও ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে রাজশাহীর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শিমুল আক্তারের নেতৃত্বে নগরের লক্ষ্মীপুর এলাকায় বেসরকারি হাসপাতাল ও রোগনির্ণয় কেন্দ্রে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। এ সময় সিভিল সার্জনের প্রতিনিধি ও র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। বেলা দুইটা পর্যন্ত ওই অভিযান চালানো হয়।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, নগরের আল মদিনা নার্সিং হোমে অভিযান চালানোর সময় সেখানে কোনো চিকিৎসক বা নার্স পাওয়া যায়নি। নিয়ম অনুযায়ী ১০ শয্যার একটি হাসপাতালে সার্বক্ষণিক একজন চিকিৎসক ও দুজন নার্স থাকার কথা। অথচ এই হাসপাতালের চারটি শয্যায় রোগী পাওয়া গেছে। তাঁদের মধ্যে দুজনের অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। তাঁদের কোনো সমস্যা হলেও দেখার কোনো চিকিৎসক নেই। এছাড়াও গত বছর তাঁদের লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। এখনো তা নবায়ন করা হয়নি। আদালতের কাছে নার্সিং হোমের স্বত্বাধিকারী আবুল কালাম আজাদ স্বীকার করেছেন তাঁদের সার্বক্ষণিক চিকিৎসক ও নার্সের ব্যবস্থা নেই। তবে তাঁরা নতুন লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছেন।
আদালতের বিচারক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শিমুল আক্তার বলেন, সার্বক্ষণিক চিকিৎসক ও নার্স ছাড়াই একটি হাসপাতাল চালানোর অভিযোগে মালিকের ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে এক মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। মালিক জরিমানার টাকা সঙ্গে সঙ্গে পরিশোধ করে দেন। এভাবেই হাসপাতালটি আর মালিক চালাতে পারবেন কি না, জানতে চাইলে ম্যাজিস্ট্রেট শিমুল আক্তার বলেন, বিভাগীয় পরিচালক-স্বাস্থ্য ও সিভিল সার্জন এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত দেবেন।
এর আগে ভ্রাম্যমাণ আদালত নগরের একই এলাকায় লেজার ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও একতা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযান চালিয়ে তাদের এক্স-রের লাইসেন্স নবায়ন না থাকায় প্রত্যেকের পাঁচ হাজার টাকা করে জরিমানা করেন।