ফরিদপুরের নগরকান্দা পৌরসভার মেয়র ও পলাতক বিএনপি নেতা জাহিদ হোসেন খোকন ওরফে খোকন রাজাকারের যুদ্ধাপরাধ মামলার রায় হচ্ছে বৃহস্পতিবার।
বুধবার বিচারপতি ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বাধীন ৩ সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ আদেশ দেন।
একাত্তরে হত্যা, ধর্ষণ, ধর্মান্তরে বাধ্য করা, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের মতো মানবতাবিরোধী অপরাধের ১১টি অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এদিকে তদন্ত শুরুর পর থেকেই তিনি পলাতক।
বিভিন্ন সময়ে ‘রাজাকার ছিলাম, আছি, রাজাকার হিসেবেই মৃত্যুবরণ করতে চাই’ বক্তব্য দিয়ে স্বঘোষিত রাজাকারের খেতাব পান তিনি।
২০১৩ সালের ৯ অক্টোবর মানবতাবিরোধী অপরাধে খোকনের বিরুদ্ধে অভিযোগ (চার্জ) গঠন করা হয়। তার বিরুদ্ধে ১৬ জন নারী ও শিশুসহ ৫০ জনকে হত্যা, তিনজনকে পুড়িয়ে হত্যা, ২ জনকে ধর্ষণ, ৯ জনকে ধর্মান্তরিত করা, ২টি মন্দিরসহ ১০টি গ্রামের বাড়িঘরে লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ, ৭ জন গ্রামবাসীকে সপরিবারে দেশান্তরে বাধ্য করা ও ২৫ জনকে নির্যাতনসহ সুনির্দিষ্ট ১১টি অভিযোগ আনা হয়। তিনি হাজির না হওয়ায় ওই বছরের ১৪ আগস্ট তার অনুপস্থিতিতেই বিচার শুরু করে ট্রাইব্যুনাল। একই সঙ্গে তার পক্ষে রাষ্ট্রীয় খরচে আইনজীবী হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয় আব্দুস শুকুর খানকে।
ওই বছরের ১৯ নভেম্বর খোকন রাজাকারের বিরুদ্ধে সূচনা বক্তব্য উপস্থাপনের মধ্য দিয়ে তার মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। ২১ নভেম্বর থেকে ২ এপ্রিল পর্যন্ত তদন্ত কর্মকর্তা সত্যরঞ্জন দাশসহ খোকন রাজাকারের বিরুদ্ধে মোট ২৪ জন সাক্ষী সাক্ষ্য দিয়েছেন। পলাতক এই আসামির পক্ষে কোনো সাফাই সাক্ষী জবানবন্দি পেশ করেনি। কারণ আসামিপক্ষের আইনজীবী আব্দুস শুকুর খান মোট ৩০ জন সাক্ষীর তালিকা ট্রাইব্যুনালে জমা দিয়েছিলেন। কিন্তু কোনো সাক্ষী আদালতে আনতে না পারায় তিনি তার আবেদন প্রত্যাহার করে নেন বলে জানিয়েছেন