ওবায়দুল ইসলাম রবি,রাজশাহী প্রতিনিধি:
রাজশাহী চারঘাট উপজেলার উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে সংসদ সদস্য গোলকাপ টুর্নামেন্ট খেলা শেষে হঠাৎ মধুর কন্ঠে একটি গান ভেসে আসে (মা যেয়ো না গো মরে আমার আগে)। মহুতেই শত শত জনারণ্য হয় পেন্ডেলের সামনে।এত রিতি মত অবাক করার বিষয় ১০ বছর বয়সের একটি দরিদ্র ছেলে কি ভাবে এই কঠিন শুরের গানটি গাইছে।ক্ষুদে শিণ্পি আতিক হাসান জানায় পরানপুর গ্রমে ছ্রোট কুটিরে আমরা বসবাস করি,আমার বাবা রফাত আলি একজন দিনমুজুর।কোন রকম আমাদের দিন পাতিতি হয়।তার এই গান শেখার সহযোগিতা জন্য কেউ তার পাশে নেই,আমরা গরিব দুখি, মানুষের সান্তনাই আমাদের কাম্য। ক্ষুদে শিল্পির বাবা এবং এলাকার প্রতিবেশির সঙ্গে কথা বলে জানা যায় আতিক তার নিজ প্রচেষ্টাই গান গায়।দারিদ্রতার জন্য কোন শিক্ষকের নিকট তালিম নিতে পারে না, মুখে মুখে অনেকে অনেক আশা দেয় কিন্ত পরিশেষে উপডেকোন হিসেবে মেলে শুন্যতা।ক্ষুদে আতিক এত পূর্বে ক্ষুদে গান রাজ প্রতিযোগিতাই(চ্যানেল আই)অংশগ্রহন করে, কিন্ত তেমন ভাল করেতে পারেনি।তার অভাব ছিল ভাল একজন গানের শিক্ষক।এই সময় চারঘাট পৈার আ’লীগ সা:সম্পাদক একরামুল হোসেন বলেন আমাদের মাঝে এই রকম অনেক প্রতিভা অন্কুরে ঝরে যায়, যদি সরকার এবং দেশের বড় প্রতিষ্ঠান গুলি এই ধরনের অসহায়দের পাশ সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয় তাহলে দেশ জাতি দুই লাভবান হবে।সকলে অমরা সকলের তরে প্রত্যেকে আমারা পরের তরে।পরিশেষে ক্ষুদে শিল্পি আতিক বেশ কয়েকটি গান পরিকেশন করে এবং উপস্থিত জনতা ১০-২০টাকা দিয়ে সহযোগিতা করে।তবে আতিক এটা চাইনা সে পড়াশুনার পাশাপাশি ভাল একজন শিল্পি হতে চায়।