হাতির পিঠে চেপে প্রাণটাই খোয়াতে বসেছিলেন আর একটু হলে!
রুশ মহিলা পর্যটক তাঁর আট বছরের মেয়েকে নিয়ে মধ্য তাইল্যান্ডে হাতির পিঠে চড়ে ঘুরতে বেরিয়েছিলেন। সঙ্গে ছিলেন প্রশিক্ষিত মাহুত। হাতির রোষের মুখে যাঁর প্রাণ গিয়েছে। গত কাল ঘটনাটি ঘটেছে তাইল্যান্ডের পূভারা ট্যুর এলিফ্যান্ট ক্যাম্পে। হাতির পিঠে চড়ে ঘুরবেন বলেই এখানে পর্যটকরা ভিড় জমান।
আর পাঁচটা দিনের মতো গত কালও ফ্লাই মিও নামে ১৮ বছরের হাতিটি রুশ পর্যটক আর তাঁর মেয়েকে পিঠে নিয়ে জঙ্গলে ঘুরতে বেরিয়ে পড়েছিল। একেবারে সামনে বসে ছিলেন প্রবীণ মাহুত সুক সুবমার্ক। কিন্তু মাঝপথে হঠাৎ খেপে যায় মিও। ফুঁসতে ফুঁসতে সে আছড়ে ফেলে দেয় সুককে। নিমেষেই পায়ে পিষে ফেলে তাঁকে। ওই অবস্থায় তার পিঠ কোনওমতে আঁকড়ে বসেছিলেন ওই পর্যটক আর তার কন্যা। সুককে মেরে ফেলে উন্মত্ত মিও ঢুকে পড়ে জঙ্গলের ভিতরে। পরে সুকের দেহ উদ্ধার হয় ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ২০০ মিটার দূরের একটি খালে। উদ্ধারকারীরা জানান, কোনও ভাবে জলে ভেসে দূরে চলে গিয়েছিল মাহুতের দেহ। পরে খুঁজতে খুঁজতে সেখানকারই একটি রিসর্ট লাগোয়া তালের বাগানে মেলে মিওর পায়ের ছাপ। মাহুত, পুলিশ এবং উদ্ধারকারী দলের লোকজন সেখানে পৌঁছে দূর থেকে দু’টি ঘুমপাড়ানি তির ছোড়ে মিওর দিকে। তার পরে একটি উঁচু জায়গা থেকে ঝাঁপ দিয়ে এক জন মাহুত মিওর ঘাড়ে চেপে বসেন। তত ক্ষণে তিনি কব্জায় এনে ফেলেছেন খেপে যাওয়া মিওকে। শেষমেশই নিরাপদে মিওর পিঠ থেকে নেমে আসেন রুশ মহিলা আর তাঁর মেয়ে।