সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবি) ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষে ৫ জন গুলিবিদ্ধসহ ১৫ জন আহত হয়েছেন। এ সময় উভয় পক্ষে মুহুর্মুহু ককটেল বিস্ফোরণ ও গুলি বর্ষণ হয়।
বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় ক্যাম্পাসের নিয়ন্ত্রণ ও হল দখল নিয়ে ছাত্রলীগ সভাপতি সঞ্জিবন চক্রবর্তী ও সহ-সভাপতি অঞ্জন রায় গ্রুপের মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। বেলা ১২টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত উভয় পক্ষে থেমে থেকে সংঘর্ষ চলছিল। সংঘর্ষে সহ-সভাপতি অঞ্জন রায় গুরুতর জখম হয়েছেন বলে তার সমর্থকরা জানিয়েছেন।
জানা যায়, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ক্যাম্পাসে অবস্থান নেয় শাবি ছাত্রলীগ সভাপতি সঞ্জিবন চক্রবর্তীর সমর্থকরা। এ সময় ক্যাম্পাসের নিয়ন্ত্রণে থাকা সহ-সভাপতি অঞ্জন রায় ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সদস্য উত্তম কুমার দাশের সমর্থকরা তাদের বাধা দিলে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষের সময় শাহপরাণ ও দ্বিতীয় ছাত্র হলের ভেতরে মুহুর্মুহু ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। উভয় পক্ষে বিনিময় হয় বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি। এ সময় সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তারা দ্বিগি¦দিক ছুটাছুটি করতে থাকে। ক্যাম্পাসে আতঙ্কগ্রস্তু কয়েক শত শিক্ষার্থী আটকা পড়ে আছে।
বর্তমানে ক্যাম্পাসে পুলিশ অবস্থান করছে। তবে শাবি কর্তৃপক্ষের অনুমতি না পাওয়ায় তারা কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না। পুলিশ নীরব দর্শকের ভূমিকায় রয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ছাত্রলীগ সূত্রে জানা যায়, গেল বছর ৮ মে সঞ্জিবন চক্রবর্তীকে সভাপতি ও ইমরান খানকে সাধারণ সম্পাদক করে শাবি শাখা ছাত্রলীগ কমিটি ঘোষণা করা হয়। কিন্তু কমিটি ঘোষণা করা হলেও অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে সঞ্জিবন চক্রবর্তী ও তার সমর্থকরা এতদিন ক্যাম্পাসে ঢুকতে পারেনি। ক্যাম্পাসের নিয়ন্ত্রণে ছিল সহসভাপতি অঞ্জন রায় ও উত্তম কুমার দাশ ও তাদের সমর্থকদের।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সকালে সঞ্জিবন চক্রবর্তী ও তার সমর্থকরা নিয়ন্ত্রণ নিতে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করলে উভয় গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। দুপুর ১২টা পর্যন্ত এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত এ সংঘর্ষ চলছিল।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর হিমাদ্রি শেখর রায় জানান, ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ চলছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য পুলিশকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।