রাজধানীর শ্যামপুর থানার ফরিদাবাদ এলাকায় ঘুমন্ত স্বামী-স্ত্রীকে ছুরিকাঘাত করে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। আজ বৃহস্পতিবার ভোররাত তিনটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। স্ত্রীর ভাষ্য, ডাকাতেরা বাসায় রাখা এক লাখ টাকা ও দুটি মুঠোফোন নিয়ে গেছে।
আমাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্র জানায়, আহত হারুনুর রশিদ (৪৫) ও তাঁর স্ত্রী সেলিনা আক্তার (৩২) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
সেলিনা আক্তারের ভাষ্য, হরিচরণ রায় রোডে একতলা বাসায় তাঁরা ঘুমাচ্ছিলেন। ভোররাত তিনটার দিকে মুখোশ পরা তিন ব্যক্তি জানালার গ্রিল কেটে ভেতরে ঢোকে। এ সময় তারা বাসার বিদ্যুৎসংযোগ বন্ধ করে দেয়। তাদের মধ্যে একজন সেলিনা আক্তারের গলা চেপে ধরে। তিনি চিৎকার করে উঠলে ছুরি দিয়ে তাঁর হাতে আঘাত করে। এ সময় স্বামী হারুনুর রশিদ লাফিয়ে উঠে বসেন। বাকি দুই ব্যক্তি হারুনুর রশিদকে চেপে ধরে। হারুনুর রশিদ বাধা দিলে তাঁদের মধ্যে হাতাহাতি হয়। একপর্যায়ে ডাকাতেরা হারুনুর রশিদকে ছুরি দিয়ে উপর্যুপরি আঘাত করতে থাকে। ডাকাতেরা হারুনুরের বাঁ হাতে ও পেটে এলোপাতাড়ি ছুরি চালায়। পরে ওয়ার্ডরোব খুলে রাতে অফিস থেকে এনে রাখা এক লাখ টাকা ও দুটো মুঠোফোন নিয়ে যায়।
সেলিনা আক্তারের ভাষ্য, ভোর পৌনে পাঁচটার দিকে স্বজনেরা তাঁদের ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যান। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সেখানে হারুনুর রশিদের অস্ত্রোপচার চলছিল।
এ ঘটনায় মামলা করার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান সেলিনা। তাঁর ভাষ্য, ডাকাতেরা সবাই মুখোশ পরে থাকায় কাউকে তিনি চিনতে পারেননি।
হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের দায়িত্বে থাকা (ইনচার্জ) কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) মোজাম্মেল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।