ওবায়দুল ইসলাম রবি, চারঘাট(রাজশাহী) প্রতিনিধি।

গত বৃহস্পতিবার রাজশাহী চারঘাট সারদা বাজার মোড়ে আ’লীগ অঙ্গ সংঘটনের নতো ও সদস্যরা ১ঘন্টা যাবত মহাসড়ক অবরোদ করে রাখে। পুর্বের জের ধরে বুধবার অনুমান রাত ৯টার সময় আদিল (৩০) পিতা- ইদ্রিস আলি কে ধারাল দেশি অস্ত্র (চাইনিজ কুড়াল) দিয়ে আঘাত করে ডান হাতটি বিকল করে দেয়। স্থানিয় লোকজন ঘটনাটি জানার পর তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। এলাকার সুত্রে জানাযায় আদিল একজন সন্ত্রাস। তার আচার আচনে সাদিপুর গ্রামের মানুষ অতিষ্ট।এমন কোন অসামাজিক কাজ বাকি নেই যা সে করে না, কিন্ত বর্তমান সরকার দলিয়ো হওয়ার ফলে কেউ প্রতিবাদ করার সাহস হয়ে উঠেনা। ১নং ইউনিয়ন মেম্বার মোঃ রফিকুল ইসলাম জানায়, আদিল সাদিপুর গ্রামের ছেলে হলেও আমরা তার কার্যকলাপে বসবাস করা কঠিন। তথা সিন্তায়,মাদক ব্যাবসা সহ সন্ত্রাস তার নিত্য দিনের কাজ। উক্ত গ্রামের অনেকের কিছু বলার ইচ্ছো থাকলেও ভয়ভিতির কারনে কিছু বলতে অনিইচ্ছুক। আহত আদিল জানায় বৃহস্পতিবার রাতে একই গ্রামের আমান, মোতালেবের সাথে বাকবাক্যের এক পর্যায় মোতালেব চাইনিজ কুড়াল দিয়ে আমার ডান হাতে আঘাত করে কেটে দেয়। আহতের ঘটনাটি পরস্পর স্থানিয় আ’লীগ অবগত হবারপর বৃহস্পতিবার একটি প্রতিবাদ মিছিল মোক্তারপুর ট্রাফিক মোড় থেকে সারদা বাজার মেড়ে এসে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে রাস্তা অবরোদ করে।
প্রতিবাদ সমাবেশে হামলাকারীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করে ৪৮ ঘন্টার আল্টিমেটাম দেওয়া হয়। এ সময় পথ সভায় বক্তব্য দেন জেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি গোলাম কিবরিয়া বিপ্লব, জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাম্মী হোসেন মধু, পৌর কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক সেলিম রেজা বাচ্চু, উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য আল মামুন তুষার প্রমুখ। উল্লেখ্য গত বুধবার সন্ধ্যায় সন্ত্রাসী হামলায় ছাত্রলীগ কর্মি আদিল গুরুতর আহত হয়ে রামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আদিল উপজেলার সাদিপুর গ্রামের ইদ্রিসের ছেলে এ সময় দুটি সিএনজি ও একটি বাস ভাংচুর করে। আ’লীগের বিভিন্ন অঙ্গ সংঘটনের অবরোদের ঘটনাটি চারঘাট থানা পুলিশ জানার পর ওসি গোলাম মর্তুজা, তদন্ত অফিসার সাজ্জাদ, এসআই রহুল,আলীম,মামুন,পারভেজ ও অন্যান্য পুলিশ সদস্যরা ঘটনাটি ১ঘন্টা পর নিয়ন্ত্রনে আনে এবং পরে যান চলাচল সাভাবিক হয়।

এ ব্যাপারে চারঘাট মডেল থানার ওসি গোলাম মোর্তুজা জানান, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ছাত্রনেতা আদিলকে আহত করার প্রতিবাদে একটি মিছিল ও সড়ক অবরোধ করে। গাড়ি ভাংচুরের ঘটনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ রকম ঘটনার কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি।