ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার মোগরা ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত নেতা রাজাকার মোবারক হোসেনের বিরুদ্ধে একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।
সোমাবার বেলা ১২টায় মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের জন্য গঠিত ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১ এ রায় ঘোষণা করেন।
মোবারকের বিরুদ্ধে প্রশিকিউশনের আনা ৫টি অভিযোগের মধ্যে দুটি প্রমাণিত হয়েছে। বাকি তিন অভিযোগ থেকে খালাস পান তিনি। এর মধ্যে গণহত্যার ১ নম্বর অভিযোগের দায়ে মৃত্যুদণ্ড ও জনৈক খালেক হত্যার তিন নম্বর অভিযোগের দায়ে তাকে আমৃত্যু কারাদন্ডাদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল।
মোট ৯২ পৃষ্ঠার সংক্ষিপ্ত রায়ের প্রথম অংশ পাঠ করেন বিচারক প্যানেলের সদস্য বিচারপতি আনোয়ারুল হক। রায়ের দ্বিতীয় অংশ পড়েন বিচারক প্যানেলের অপর সদস্য বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন এবং সবশেষে শেষ অংশ অর্থাৎ মূল রায় ঘোষণা করেন ট্রাইব্যুনাল চেয়ারম্যান বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম।
এর আগে বেলা ১১টা ১০ মিনিটে ট্রাইব্যুনালের আসামির কাঠগড়ায় তোলা হয় মোবারককে। সকাল সোয়া ৯টার দিকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে একটি প্রিজন ভ্যানে ট্রাইব্যুনালে এনে হাজতখানায় রাখা হয় তাকে।
মানবতাবিরোধী অপরাধের পাঁচ ঘটনায় অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে ২০১৩ সালের ২৩ এপ্রিল মোবারকের বিচার শুরু হয়। একই বছরের ২০ মে মোবারক হোসেনের বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। প্রসিকিউশনের মোট ১২ জন সাক্ষী এ মামলায় সাক্ষ্য দেন। গত বছরের ২৫ নভেম্বর প্রসিকিউশনের সাক্ষ্যগ্রহণ এবং তাদের আসামিপক্ষের জেরা শেষ হয়।
আর আসামিপক্ষে সাফাই সাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য দিয়েছেন আসামি মোবারক হোসেন নিজে ও তার বড় ছেলে মোহাম্মদ আসাদ উদ্দিন। উভয়ের সাক্ষ্য দেয়া শেষ হলে জেরা করে প্রসিকিউশন। সাক্ষ্য ও যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে ট্রাইব্যুনাল-১ গত ২ জুন মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রাখেন।