প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (প্রাশিস) পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসের যে অভিযোগ উঠেছে, তাকে ‘গুজব’, ‘ভিত্তিহীন’ ও ‘তথ্য বিভ্রাট’ বলে আখ্যায়িত করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। প্রশ্ন ফাঁসের এই খবরকে ‘হীন, অসত্য, ভিত্তিহীন, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও সন্দেহমূলক’ দাবি করে মন্ত্রণালয় এ ধরনের সংবাদ প্রচার না করার জন্য গণমাধ্যমের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
মন্ত্রণালয় আজ বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই আহ্বান জানায়। তবে আজ অনুষ্ঠিত প্রাথমিক বিজ্ঞান বিষয়ের প্রশ্নপত্রও ফাঁস হয়েছে বলেও বিভিন্ন এলাকা থেকে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পরীক্ষা শুরুর পরের দিন থেকে এখন পর্যন্ত বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ও গণমাধ্যমে এ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস-সংক্রান্ত বিভিন্ন ‘বিভ্রান্তিকর’ সংবাদ প্রচার করে যাচ্ছে। এ নিয়ে জনমনে উদ্বেগ ও সৃষ্ট অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি অনুধাবন করে আজ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বিষয়টি পর্যালোচনা করেছেন। ফেসবুকে পাওয়া প্রশ্ন বা সাজেশন এবং অনুষ্ঠিত পরীক্ষার প্রশ্নপত্র মিলিয়ে দেখা হয় এবং প্রযুক্তিগত ত্রুটি বিচ্যুতির কারণে এ ধরনের ঘটনার উদ্ভব কি না, তা–ও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়। সার্বিক পর্যালোচনা শেষে প্রতীয়মান হয় যে, ফেসবুকসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রশ্নের সঙ্গে সমাপনী পরীক্ষায় সরবরাহকৃত প্রশ্নের কোনো সামঞ্জস্য নেই। প্রশ্নপত্র ফাঁস হলে পরীক্ষার বিষয়ভিত্তিক প্রশ্নের সঙ্গে ফেসবুকে পাওয়া প্রশ্নপত্রের মিল থাকার কথা। কিন্তু তার প্রমাণ মেলেনি।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ ব্যাপারে অভিভাবকদের উদ্বিগ্ন না হওয়ার অনুরোধ জানানো হয়।
Collected
Post by : Shishir Azim Akash