কটিয়াদী, কিশোরগঞ্জ থেকে সুবল চন্দ্র দাস।
শুক্রবার কিশোরগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এস.এম রাজিবুল হাসান কারাগারে পাঠানোর এ নির্দেশ দেন মানবতাবিরোধী অপরাধে মামলায় অভিযুক্ত কিশোরগঞ্জের ‘কুখ্যাত রাজাকার’ অ্যাডভোকেট শামসুদ্দিন আহমেদকে আদালতের নির্দেশে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।শামসুদ্দিন ‘রাজাকার’ কারাগারে শামসুদ্দিন আহমেদ। শুক্রবার দুপুর ১২টায় আসামিকে আদালতে আনা হয়। সেখানে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক এস.এম রাজিবুল হাসানের খাস কামরায় শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষে কোর্ট পরিদর্শক সুনীল চন্দ্র রায় আসামিকে কারাগারে পাঠানোর জন্য আবেদন করেন। তবে আসামি পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না। বিচারক আসামিকে কারাগারে পাঠানোর পাশাপাশি মামলার নথি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে প্রেরণের নির্দেশ দেন। উল্লেখ্য, কিশোরগঞ্জ পুলিশের একটি দল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ময়মনসিংহের নান্দাইল থানার চৌরাস্তা বাসস্ট্যান্ড থেকে তাকে আটক করে। এ সময় তিনি টিকেট কেটে চট্রগ্রামগামী বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলেন বলে পুলিশ জানায়। এর আগে কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার লিটন কুমার শাহা জানান, একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় কিশোরগঞ্জের দুই সহোদর নাসির উদ্দিন আহমেদ ও শামসুদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে। গ্রেফতারি পরোয়ানার ভিত্তিতে পুলিশ শামসুদ্দিন আহমেদকে গ্রেফতার করে। নাসির উদ্দিন আহমেদ ও শামসুদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলার বিদ্যানগর, আয়লা, ফতেপুর বিল, কিরাটন বিলসহ আশেপাশের কয়েকটি গ্রামে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও রাজাকার বাহিনী নিয়ে অত্যাচার নির্যাতনসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ রয়েছে। ২০১৩ সালের ৬ জুন তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়। এক বছর পাঁচ মাস ১৮দিন তদন্ত করে গত ২৪ নভেম্বর তদন্ত কাজ শেষ হয়। তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন ২৬ নভেম্বর প্রসিকিউটর কার্যালয়ে জমা দেওয়া হয়েছে।