একাত্তরের মানবতাবিরোধী মামলায় যশোরের সাবেক এমপি ও জামায়াত নেতা মাওলানা সাখাওয়াত হোসেনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শনিবার সন্ধ্যায় উত্তরখানের মাস্টারপাড়া এলাকার একটি বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানান ঢাকা মহানগর পুলিশের উত্তরা বিভাগের উপ কমিশনার ইকবাল হোসেন।
উত্তরখান থানার ওসি ইউনুস আলী বলেন, সাখাওয়াতের বিরুদ্ধে ১৯৭১ সালে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি ছিল। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে তার মামলা নম্বর ৫।
তিনি বলেন, শনিবার সন্ধ্যা সোয়া সাতটায় উত্তরখানের মাস্টারপাড়ার শাহী মসজিদসংলগ্ন একটি বাসা থেকে সাখাওয়াতকে গ্রেফতার করা হয়। আগে তিনি উত্তরা ৬ নম্বর সেক্টরে থাকতেন। সম্প্রতি উত্তরখানের ওই বাসায় স্ত্রীসহ ওঠেন তিনি।
মাওলানা শাখাওয়াত হোসেনের বাড়ি যশোরের কেশবপুর থানায়। জাতীয় পার্টির সাবেক ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক সাখাওয়াত এক সময় ছিলেন জামায়াত নেতা।
১৯৯১ সালে জামায়াতে ইসলামীর পক্ষে নির্বাচনে দাঁড়িয়ে যশোর-৬ আসন থেকে তিনি সাংসদ নির্বাচিত হন। কিন্তু মেয়াদপূর্তির আগেই জামায়াত ছেড়ে বিএনপিতে যোগ দেন।
১৯৯৬ সালে বিএনপি থেকে নির্বাচন করে পরাজিত হন তিনি। ২০০১ সালের সপ্তম সংসদ নির্বাচনে দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসাবে নির্বাচন করে আবারো পরাজিত হন।
পরে ২০০৬ সালে অলি আহমেদের এলডিপিতে যোগ দিলেও পরের বছর দেশে জরুরি অবস্থা জারির পর তিনি যোগ দেন ফেরদৌস আহম্মেদ কোরেশীর পিডিপিতে। ঘরোয়া রাজনীতি উন্মুক্ত করা হলে এরশাদের জাতীয় পার্টিতে ভিড়ে যান সাখাওয়াত।
সাখাওয়াত হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, তিনি ১৯৭১ সালে মুক্তিযদ্ধের সময় দখলদার পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর দোসর হিসেবে রাজাকার বাহিনীর কমান্ডারের দায়িত্বে ছিলেন।
একাত্তরে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে ২০০৯ সালে যশোরে সাখাওয়াতের বিরুদ্ধে চারটি মামলা হয়। ওই বছর জুন মাসে তাকে কেশবপুর থেকে গ্রেপ্তারও করা হয়। তবে পরে তিনি জামিনে ছাড়া পেয়ে যান।
post by usman gony
See more at: http://www.swadeshnews.com/2014/11/29