সাংবাদিক জগ্লুল আহ্মেদ চৌধূরীর মৃত্যুর ঘটনায় পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। রোববার সকালে সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রণালয় থেকে বিআরটিএর পরিচালককে প্রধান করে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিকে মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধান করে আজ থেকে তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, শনিবার রাত ১০টার দিকে কারওয়ান বাজারে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন খ্যাতিমান সাংবাদিক বাসসের প্রাক্তন ব্যবস্থাপনা পরিচালক জগ্লুল আহ্মেদ চৌধূরী।
প্রায় পাঁচ দশকের সাংবাদিকতা জীবনে একাধিক সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন জগলুল এ চৌধুরী। কূটনীতির নানা ক্ষেত্রে সরব পদচারণা ছিল তার। সরকারি বার্তা সংস্থা বাসসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক পদেও দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক নানা ইস্যু নিয়ে টেলিভিশন টকশোতে নিয়মিত অংশ নিতেন। দেশের জাতীয় দৈনিকগুলোতে কলাম লিখতেন।
বঙ্গবন্ধু হাসপাতাল থেকে রাতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমদ জানান, বাসে কারওয়ানবাজারে নামছিলেন জগলুল এ চৌধুরী। বাস থেকে নামার সময় এক পা নিচে এবং আরেক পা ওপরে থাকতেই বাসটি টান দেয়। এতে রাস্তায় পড়ে যান তিনি। রাস্তায় পড়ে মাথায় গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হন। তাকে প্রথমে পান্থপথের মোহনা হাসপাতাল, সেখান থেকে কমফোর্ট হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেয়ার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তার আগেই তিনি মারা যান।
জানাজা ও দাফন সম্পর্কে প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জানান, তার মেয়ে অন্তরা চৌধুরী আমেরিকায় আছেন। তার সঙ্গে যোগাযোগ করে জানাজা ও দাফনের বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
পারিবারিক সূত্র জানায়, জগলুল এ চৌধুরী ১৯৫১ সালের ২০ জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম নাছির আহমেদ চৌধুরী। তিনি যুক্তফ্রন্ট সরকারের আইনমন্ত্রী ছিলেন। জগলুল এ চৌধুরীর গ্রামের বাড়ি হবিগঞ্জের ছাতিয়ান এলাকায়। বনানীর সি ব্লকের ৬ নম্বর সড়কের ৫১ নম্বর বাসার বি-১ ফ্ল্যাটে থাকতেন তিনি।
তার বাসার গৃহকর্মী ফরিদা জানান, তার ছেলে নাবিদ চৌধুরী চাকরিজীবী। একমাত্র মেয়ে অন্তরা চৌধুরী স্বামীসহ আমেরিকায় প্রবাসী। পারিবারিক সূত্র জানিয়েছে, তিনি দেশে আসার পর অথবা তার সম্মতি অনুযায়ী জানাজা ও দাফনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
Posted by Ab Emon