ভারতীয় সন্ত্রাসী আবদুর রউফ ওরফে দাউদ মার্চেন্টের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ বুধবার ঢাকা মুখ্য মহানগর হাকিম নুরু মিয়ার আদালতে হাজির করে তাঁর সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। শুনানি শেষে আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আদালতে দাউদ মার্চেন্টের জামিন আবেদন করা হলেও আদালত তা নামঞ্জুর করেন।
গতকাল সোমবার রাতে দাউদ মার্চেন্টকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। তাঁকে গাজীপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আজ ডিবির পক্ষ থেকে আদালতে দাখিল করা এক প্রতিবেদনে জানা যায়, সন্দেহজনকভাবে ঘোরাঘুরি করায় দাউদ মার্চেন্টকে আটক করা হয়। তাঁর সঙ্গে কোনো পাসপোর্ট বা ভিসা ছিল না। পুলিশের ধারণা, বাংলাদেশে কোনো অপরাধ সংঘটন করতে বা ভারতে বড় কোনো অপরাধ করে তিনি পালিয়ে এসেছেন। এ ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য পেতে তাঁকে রিমান্ডে নেওয়া প্রয়োজন।
এর আগে ২০০৯ সালের ২৬ মে ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে এক সহযোগীসহ গ্রেপ্তার হয়েছিলেন দাউদ মার্চেন্ট। সম্প্রতি জামিনে বেরিয়ে আবারও তিনি গ্রেপ্তার হলেন। তিনি দুবাইভিত্তিক মাফিয়া ডন দাউদ ইব্রাহিমের অন্যতম সহযোগী। দাউদ মার্চেন্ট ভারতের বিখ্যাত প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান টি-সিরিজের কর্ণধার গুলশান কুমার হত্যা মামলায় ১০ বছরের কারাদণ্ডাদেশ পাওয়া আসামি। ১৯৯৭ সালের ১২ আগস্ট মুম্বাইয়ে গুলি করে গুলশানকে হত্যা করা হয়।
কারাগার সূত্র জানায়, জাল পাসপোর্ট তৈরি ও অনুপ্রবেশের মামলায় বিচারের অপেক্ষায় কাশিমপুর কারাগারে বন্দী ছিলেন দাউদ মার্চেন্ট। ওই মামলায় তিনি জামিন পান।
ডিবি সূত্র জানায়, বর্ধমানে বিস্ফোরণ ঘটনার পর ভারত-বাংলাদেশে জঙ্গি ও মাফিয়া চক্রগুলো আরও একবার আলোচনায় আসে। এখন জঙ্গিদের সঙ্গে আন্তর্জাতিক মাফিয়া ও উলফার মতো বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনগুলোর সম্পর্ক খতিয়ে দেখছে দুই দেশের গোয়েন্দারা। এর মধ্যেই জামিনে বেরিয়ে ধরা পড়লেন দাউদ মার্চেন্ট।
ডিবি সূত্র জানায়, ডিবির একটি দল ২০০৯ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে দাউদকে গ্রেপ্তার করে। বাংলাদেশে দাউদ ইব্রাহিমের নেটওয়ার্ক বিস্তারের জন্য ছোটা শাকিলের নির্দেশে পালিয়ে এ দেশে এসেছিলেন দাউদ মার্চেন্ট। ছোটা শাকিল দাউদ ইব্রাহিমের ঘনিষ্ঠ সহযোগীদের একজন।