পানির জন্য টিউবয়েল বসাতে গিয়ে গ্যাসের সন্ধ্যান মিলেছে। এখন জ্বলছে আগুন, পড়ছে অনবরত পানি। টিউবয়েল বসানোর পর থেকেই পানি আর গ্যাসের চাপ। দিনভর দৃশ্যটি দেখতে সেই টিউবয়েলের কাছে ভীড় জমাচ্ছে উৎসুক জনতা। চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার ৫নং সদর ইউনিয়নের উত্তর সুবিদপুর আলী আহম্মদ ছৈয়াল বাড়ীতে এ ঘটনা।
সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, ২০ দিন পূর্বে ১৩০ ফুট পাইপ দিয়ে টিউবয়েল বসানোর উদ্যোগ নেয় ছৈয়াল বাড়ীর মমিনুল হকের ছেলে ইউনুছ মিয়া। কলমিস্ত্রি দিয়ে প্রায় ৭ হাজার টাকা খরচ করে এই টিউবয়েল বসানো হয়। তবে গ্যাস ও পানির চাপ দেখে কলমিস্ত্রিরা ৯৫ ফুটের বেশি পাইপ বসাতে পারেনি। এখন দিয়াশলাই দিয়ে আগুন ধরিয়ে দিলে জ্বলতে থাকে আর অনবরত পানি পড়ছে। এই পর্যন্ত টিউবয়েলের পানি দিয়ে ছোট দুইটি কুয়া ভরপুর হয়ে গেছে।
ইউনুছ মিয়া বলেন, অনেক কষ্ট করে ৭ হাজার টাকা জোগাড় করেছি। টিউবয়েল বসাতে গিয়ে এখন পানি পান করতে পারছি না। গ্যাস উঠছে। কলমিস্ত্রিরা বলেছে-এখানে গ্যাস আছে, পরিমাণ যদি কম হয়। তাহলে কয়েকদিন পর পানি ব্যবহার করা যাবে। আর যদি গ্যাস বেশি থাকে তাহলে আর এই পানি ব্যবহার করা যাবে না।
তার স্ত্রী রাবেয়া বেগম বলেন, প্রথম কয়েক দিন পানি পান করেছি। এখন ভয় লাগছে। আর পানি বেশি মিটা লাগছে।
ইউনুছের বাবা মমিনুল হক বলেন, ৭৫ বছর বয়সে এমন দৃশ্য আর দেখিনি। অনবরত ঝর্ণার মতো পানি ঝরছে। এখানে সরকার পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা দরকার। যদি দেশের স্বার্থে কোন প্রয়োজনীয় কিছু থাকে তাহলে সরকারকে সহযোগিতা করবো।
প্রতিবেশি খলিল মিয়া বলেন, টিউবয়েল বসনোর পর থেকে নিজেই কয়েক বার আগুন ধরিয়ে দিয়েছি। আর পানি অনবরত পড়ছে দেখেছি।
ইউপি চেয়ারম্যান রোটা. মো. মামুনুর রহমান মজুমদার বলেন, বিষয়টি জেনেছি। এখন উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে প্রয়াজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুর্শিদুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখর জন্য জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে প্রধান করে একটি কমিটি করা হয়েছে।