গোরস্তানে ‘সাবধান’? না কি এই ধারণা পাল্টে ফেলার সময় এসেছে?
যদি দেখেন কবরস্থানে কয়েকশ’ মানুষের সঙ্গে নিশিযাপন করছেন ভিভিআইপি মন্ত্রী, তা হলে মনে হওয়া স্বাভাবিক, এ কোনও হাই প্রোফাইল অন্তিম সংস্কারের ক্ষণ। কিন্তু সম্পূর্ণ ভিন্ন উদ্দেশে এমনই পদক্ষেপ করলেন কর্নাটকের আবগারি দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী সতীশ জারকিহোলি।
উদ্দেশ্য? কবরস্থান সম্পর্কে প্রচলিত কুসংস্কার থেকে সাধারণের মনকে মুক্ত করা। ‘গোরস্তান’ যে ভূতের ডেরা নয়, সেখানেও দিন-রাত্রি নির্বিশেষে চলাফেরা করা যায়, তা-ই চোখে আঙুল দিয়ে দেখানোর চেষ্টা করেছেন সতীশ জারকিহোলি। শুধু রাত্রিবাসই নয়, সেখানে নৈশাহারও সাঙ্গ করেন তাঁরা।
বৈকুণ্ঠ ধাম নামে ওই কবরস্থানটি বর্তমানে শ্মশান হিসেবে ব্যবহৃত হয়। সেই স্থানটিকেই নিশিযাপনের জন্য বেছে নিয়েছিলন সতীশ জারকিহোলি। পাশাপাশি বি আর আম্বেদকরের মৃত্যুবার্ষিকী উদযাপনও ছিল এই নিশিযাপনের অন্যতম উদ্দেশ্য।
কুসংস্কারের অবসান ঘটানোর লক্ষ্যে সতীশ জারকিহোলির এই প্রচেষ্টায় সামিল হয়েছিল বেলাগাভি সিটি করপোরেশন। করপোরেশনের তরফেই সতীশ জারকিহোলি-সহ ১০০ জনের খাবারের ব্যবস্থা করা হয়।
কুসংস্কারবিরোধী বিল আনার জন্য তিনিই বিধানসভায় আওয়াজ তুলেছিলেন। মন্ত্রী বলেন, ‘সেখানে রাত কাটানোর মাধ্যমে আমি এই অতিকথা মুছে ফেলার চেষ্টা করেছি যে, কবরস্থান ভূতের ডেরা। দ্বিতীয়ত এর সঙ্গে জড়িত ভয়ও দূর করার চেষ্টা করেছি। আসলে এটি অত্যন্ত পবিত্র স্থান।’
ক্ষমতায় না-থাকলেও তিনি কুসংস্কারের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন সতীশ। তাঁর মতে, কুসংস্কারাচ্ছন্ন মানসিকতা থেকে মুক্ত হতে না-পারলে নিম্নবিত্ত এবং পিছিয়ে পড়া শ্রেণির লোকেরা ন্যায়-বিচার পাবে না।
তাঁর ব্যাখ্যা, বিল গেটস কখনো লক্ষ্মীর উপাসনা করেননি। কিন্তু তিনি বিশ্বের অন্যতম ধনী ব্যক্তি। পাশাপাশি তিনি এ-ও বলেন, ‘এমনকি আমিও লক্ষ্মীর উপাসক নই। তা সত্ত্বেও আমার ব্যবসায়িক টার্নওভার বার্ষিক ৬০০ কোটি টাকা।’
Post by আশিকুর রহমান চৌধুরী স্বদেশনিউজ২৪.কম