ওমানকে হারিয়ে এবারের আসরে শীর্ষ স্থান পেয়েছে বাংলাদেশ। টুর্নামেন্টের সেরা গোলদাতা ও সেরা গোলরক্ষকের পুরস্কারও পেয়েছে স্বাগতিক দলের খেলোয়াড়রা।
রাউন্ড রবিন লিগের চারটি ও প্রথম স্থান নির্ধারণী মিলিয়ে মোট পাঁচটি ম্যাচই জিতেছে বাংলাদেশ। শুরু থেকে শেষটা জয় দিয়ে হওয়ায় দারুণ খুশি অধিনায়ক সারোয়ার হোসেন।
“শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আমরা জয় পেয়েছি। এটা অবশ্যই দারুণ ব্যাপার। আমাদের লক্ষ্য, আগামীতে যে আসরগুলো খেলব, সেখানেও ভালো করা এবং দেশকে আরো সাফল্য এনে দেয়া।”
“এরপর আমরা জুনিয়র এশিয়া কাপে খেলব। ওই আসরের সেরা চার দল জুনিয়রদের বিশ্বকাপে খেলবে। সেখানে অনেক শক্তিশালী প্রতিপক্ষ আছে। আমাদের এখানে থেমে থাকলে চলবে না। আমরা যদি ভালো প্রস্তুতি নিতে পারি, ইনশাল্লাহ জুনিয়র এশিয়া কাপে সেরা চারে থেকে বিশ্বকাপে যেতে পারব।”, যোগ করেন তিনি।
জুনিয়র এএইচএফ কাপের এবারের আসরে প্রতিপক্ষের জালে বাংলাদেশ গোল করেছে ৩৫টি; বিপরীতে নিজেদের জালে কোনো গোল খায়নি স্বাগতিকরা। রক্ষণভাগ ও গোলরক্ষক তাই কোচ মামুনুর রশীদের কাছে থেকে বেশি প্রশংসা পাচ্ছেন।
“গোলরক্ষকের জন্য সপ্তাহে তিন দিন আলাদা ট্রেনিং ছিল। রক্ষণ নিয়েও আমাদের সমস্যা ছিল। সেটা নিয়েও আমরা কাজ করেছি। এই আসরে তার ফল পাওয়া গেল।”
“আমি আসলে দলের মধ্যে স্বাস্থ্যকর পরিবেশ তৈরি করতে চেয়েছিলাম। সেটা পেরেছি। দলে চোট ছিল না। এ দলটার ভবিষ্যৎ নিয়ে আমি আশাবাদী। আমি এখনো মনে করি, এই দলটাকে যদি পরিচর্যা করা হয়, তাহলে এদের দিয়ে অনেক কিছু করা সম্ভব।”, যোগ করেন কোচ।
২০১৫ সালে মালয়েশিয়ায় হবে জুনিয়র এশিয়া কাপ। পরের বছর ভারতে হবে জুনিয়রদের বিশ্বকাপ। এ দুটি আসরে ভালো করার জন্য ফেডারেশনের কাছে আরো বেশি খেলার সুযোগ চেয়েছেন কোচ।
Post by আশিকুর রহমান চৌধুরী স্বদেশনিউজ২৪.কম