একটি পরিবারের মোট সদস্য সংখ্যা ৪০ জন এবং এখনও এই যৌথ পরিবারটি আমাদের দেশের ময়মনসিংহ জেলায় বিদ্যমান যা একটি অনন্য বিরল দৃষ্টান্ত। এরকম যৌথ ও বড় পরিবার আর গ্রাম বাংলায় দেখা যায় না বললেই চলে। এই পরিবারটিকে হানিফ সংকেত স্থান দিয়েছেন তার গত পর্বের ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ইত্যাদিতে।
যৌথ পরিবারটি নিয়ে হানিফ সংকেতের ভাষ্য-
একটি পরিবারের মোট সদস্য সংখ্যা ৪০ জন এবং এখনও এই যৌথ পরিবারটি আমাদের দেশের ময়মনসিংহ জেলায় বিদ্যমান যা একটি অনন্য বিরল দৃষ্টান্ত। এরকম যৌথ ও বড় পরিবার আর গ্রাম বাংলায় দেখা যায় না বললেই চলে। এই পরিবারটিকে হানিফ সংকেত স্থান দিয়েছেন তার গত পর্বের ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ইত্যাদিতে।
যৌথ পরিবারটি নিয়ে হানিফ সংকেতের ভাষ্য-
বর্তমানে বিদেশী বিভিন্ন টিভি চ্যানেলের কু-প্রভাবে দেশের অনেক স্থানেই পারিবারিক বিপর্যয় ঘটছে, ঘটছে অনেক দূর্ঘটনা। ইদানিং প্রায়ই পত্র-পত্রিকায় ছাপা হয় পরকীয়া প্রেমের জের ধরে ঘর ভাঙ্গা, আত্মহত্যা এমনকি হত্যা পর্যন্ত নানান খবর। আজও একটি খবর পড়লাম ভারতীয় একটি চ্যানেলের সিরিয়াল দেখা নিয়ে স্বামী-স্ত্রী’র বিবাদে দু’জনই আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। চারিদিকের এত অস্থিরতার মধ্যেও ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার ধলা গ্রামের ১০২ বছর বয়স্ক আব্দুর রহমানের পরিবারটি কি সুন্দর একান্নবর্তী পরিবারভূক্ত হয়ে আছেন। এই পারিবারিক ঐতিহ্য আমাদের গর্ব, আমাদের অহংকার। এই পরিবারের মোট সদস্য সংখ্যা ৪০ জন। পরিবারের আয়ের উৎস মৎস্য ব্যবসা। এই যৌথ পরিবারটিতে বিভিন্ন বয়সের শিশু-কিশোর, নারী-পুরুষ থাকলেও এদের মধ্যে কোন ঝগড়া, বিবাদ, কলহ-দাঙ্গা নেই। এরা সবাই মিলেমিশে থাকেন। এদের রান্না হয় এক হাঁড়িতে। সবাই খানও একই সাথে। খাবার দৃশ্য দেখলে যে কারো মনে হতে পারে এটি কোন মেজবান বা গ্রামবাসীকে দাওয়াত দিয়ে খাওয়ানোর দৃশ্য। কারণ ১৫০ হাত লম্বা বারান্দায় বসে পরিবারের সবাই একসঙ্গে খান (‘ইত্যাদি’তে যেভাবে দেখেছেন)। ‘ইত্যাদি’র প্রতিবেদনে পরিবারের সদস্যরা জানালেন-তাদের সম্পূর্ণ আয় তুলে দেয়া হয় মায়ের হাতে। যার যখন যা প্রয়োজন মা’র হাত থেকেই নেন। ৫ ভাই পরিবারের ৫টি দায়িত্ব পালন করেন।
সাক্ষাৎকার গ্রহণকালে এই পরিবারের এই প্রজন্মের ক’জন সদস্য বললেন-‘এসব বিদেশী টেলিভিশন চ্যানেল বন্ধ করে দেয়া উচিৎ। কারণ এ ধারায় চলতে থাকলে এসব চ্যানেলের কু-প্রভাবে একসময় হয়তো এদেশে আর যৌথ পরিবারই থাকবে না’। তাই তারা এইসব চ্যানেল দেখেন না। ধন্যবাদ এই পরিবারটিকে। এই পরিবারটির মত আমাদেরও আরো সচেতনভাবে নির্ধারণ করতে হবে আমরা কোনটা দেখবো আর কোনটা দেখবো না। আর এই সচেতনতার উপরই আমাদের জাতি ও জাতির সংস্কৃতির ভবিষ্যত নির্ভর করে।