বয়স তার মোটে আড়াই বছর। নীল ঢুলু ঢুলু চোখ দুটি দেখলে মনে হয় পুরোপুরি ক্ষেপে আছে সে। হয়তো এক্ষুনি ঝাপিয়ে পড়বে কারো ওপর। বদমেজাজি চেহারার এই বিড়ালটির বার্ষিক আয় শুনলে আপনাকে চমকে উঠতে হবে। পুঁচকে এই বিড়ালের আয় নাকি পর্তুগিজ তারকা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর থেকে বেশি!
আমেরিকার অ্যারিজোনার বাসিন্দা তাবাথা বান্ডিসেনের পোষা এই বেড়ালটির নাম টার্ডার সস। তুমুল জনপ্রিয়তার ভীড়ে আসল নামখানা এখন হারিয়ে গেছে। আদর করে সবাই ওকে গ্রাম্পি বলে ডাকে। এক সময় হোটেলে ওয়েট্রেস হিসেবে কাজ করতেন তাবাথা। একদিন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একদিন তিনি গ্রাম্পির বেশ কিছু ছবি পোস্ট করেছিলেন। ব্যস, এরপরই ক্রমাগত কল আসতে শুরু করে তার মোবাইল ফোনে ।
গত দুই বছরে গ্রাম্পিকে দিয়ে তাবাথা আয় করেছেন ৬৪ মিলিয়ন ডলার। এর মধ্যে চলতি বছরই আয় করেছেন ২৭.১ মিলিয়ন পাউন্ড। ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর বার্ষিক আয় ১৩.৫ মিলিয়ন পাউন্ড। বিজ্ঞাপন, পণ্যসত্ত্ব, অভিনয়সহ বিভিন্ন ক্ষেত্র থেকে এই আয় হিবে করা হয়েছে।
এতো গেল আয়ের কথা। ফেসবুক , টুইটার, ইউটিউবে গ্রাম্পির কোন ছবি কিংবা ভিডিও পোস্ট হলে নেটিজেনরা রীতিমতো হামলে পড়ে। ইউটিউবে গ্রাম্পির ভিডিও দেখা হয়েছে ১কোটি ৬০ লাখ বার। ইনস্ট্রাগ্রামে তার ফলোয়ার রয়েছে ৫ লাখ ২১ হাজার। আর টুইটারে এ সংখ্যা ২ লাখ ৫৫ হাজার। এছাড়া মগ, টিশার্ট ও ক্যালেন্ডারেও রয়েছে গ্রাম্পির ছবি।
এসব ছাড়াও নাম ও ছবি ব্যবহার করা হয় বিভিন্ন পণ্য দ্রব্য বিপনন প্রতিষ্ঠান থেকেও আয় হয় গ্রাম্পির। ইলেকট্রনিক্স থেকে শুরু করে প্রাণি খাদ্য পর্যন্ত ১৪০ পণ্যের সঙ্গে জড়িয়ে আছে গ্রাম্পি। চলতি বছর গ্রাম্পির নামানুসারে গ্রাম্পিচিনো নামে টিনজাত রেডিমেড কফিও বাজারজাত করা হয়েছে। এছাড়া বিখ্যাত চলচ্চিত্র প্রযোজক প্রতিষ্ঠান লায়নসগেট নির্মিত গ্রাম্পি ক্যাটস, ওরর্স ক্রিসমাস এভার নামে একটি সিনেমায়ও অভিনয় করেছে। এসব কাজের পারিশ্রমিক আদায় ও চুক্তি করার জন্য গ্রাম্পির একজন ম্যানেজারও রয়েছে!
অদ্ভূত দৃষ্টি ও দৃঢ় ভাবভঙ্গির জন্য তারকাই বনে গিয়েছেন গ্রাম্পি ক্যাটসুক। তাই বলে দুইবার ব্যালন ডি’অর জয়ী রিয়াল মাদ্রিদ তারকা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর চেয়ে এই বিড়ালের ব্রান্ড ভ্যালু বেশি ছিল গত বছর! এটা সত্যিই অভাবনীয়।
Posted by Ab Emon