জিয়াউর রহমানকে পাকিস্তানের চর বলে। আওয়ামী লীগের নেতারা কোথায় ছিলেন তা সবাই জানে। শেখ মুজিব স্বাধীনতার ঘোষণা না দিয়ে স্বেচ্ছায় পাকিস্তানে চলে গিয়েছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এম কে আনোয়ার।
বুধবার বিকেলে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউটে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল আয়োজিত মহান বিজয় দিবস ও বিশ্ব মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
আনোয়ার বলেন, কারও কথা পছন্দ না হলে শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের নেতারা তাদের উপর আক্রমণ করেন। মুক্তিযুদ্ধের বীরসেনানী একে খন্দকার, মেজর জলিল, বঙ্গবীর কাদের সিদ্দকীকে ব্যক্তিগত আক্রমণ থেকে রেহাই দেয়নি। তাদেরকে রাজাকার বলে গালি দিয়েছে।
তিনি বলেন, প্রতিনিয়ত গুম খুন হচ্ছে। যারা গুম খুন করছে তারা ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ ও আওয়ামী লীগ। তারা আইনের ঊর্ধ্বে। তাদের বিচার হয় না। বিশ্বজিতের হত্যাকারীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ায়। বিশ্বজিতের পরিবার বিচার পায় না। বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ইলিয়াস আলীকে সরকার গুম করেছে। আজ পর্যন্ত তাকে আমরা খুঁজে পাইনি।
এম কে আনোয়ার বলেন, ’৭১ সালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে জিয়াউর রহমানের আহ্বানে যেভাবে সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে সংগ্রাম করে দেশ স্বাধীন করেছিলেন, এবার বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ডাকে সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রাম করে গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠিত করি।
জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল সভাপতি আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদু, বিএনপির শ্রমিক বিষয়ক সম্পাদক জাফরুল হাসান, শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নাসিম, উত্তরের সভাপতি জুলফিকার মতিন, দক্ষিণের সভাপতি কাজী আমির খসরু প্রমুখ।