ডায়েটিং যদি না করেন, তাহলে হঠাৎ করে শুরু করাটা সকলের পক্ষে সত্যিই চাপের৷তবে এরকম হলে ভয়ের কোনও কারণ নেই৷ কারণ আপনাদের জন্য রয়েছে দারুণ সুখবর৷ লাঞ্চ ও বিকেলের স্ন্যাক্স বা লাঞ্চ ও ডিনারের মাঝখানে এমন কিছু স্ন্যাক্স রয়েছে, যেগুলো খেতে থাকলে, অচিরেই নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় অতিরিক্ত ওজন৷চেষ্টা করবেন দুটো মিলের মাঝখানে যে স্ন্যাক্স খাবেন, তাতে প্রোটিন, ফাইবার, এসেনসিয়াল নিউট্রিয়েন্টস সব কিছুই সম পরিমাণে রয়েছে৷ডায়েটিংয়ের সময় অনেকেই এইসব খুচখাচ স্ন্যাক্সগুলো খেতে অপরাধহীনতায় ভোগেন৷কিন্তু এগুলো কখনওই আপনার শরীরের জন্য ক্ষতিকর নয়৷ এরকমই কিছু স্ন্যাক্সের হদিশ রইল এই প্রতিবেদনে-
১)বাদাম: ডায়েটিংয়ের জন্য কিন্তু বাদাম দারুণ উপকারি৷ হ্যাঁ মাত্রাতিরিক্ত খেলে ওজন বাড়ার সম্ভাবনা থাকবেই৷ তবে অফিস, কলেজে না হয় ব্যাগে একটা ছোট কৌটোয় বাদাম ভরে নিয়ে যান৷মাঝে মাঝে খেলে পেটও ভরবে, এনার্জি লেভেলও থাকবে ঠিকঠাক৷
টিপস ১: মাঝে মধ্যে মুখ চালাতে সল্টেড কাজু, চিনেবাদাম, আমন্ড, কাঠবাদাম ৪-৫ টা মুখে ভরে নিন৷তারপর অবশ্য মিনিট দশেক হেঁটে নিন বা সিঁড়ি ভাঙুন খানিকক্ষণ৷ শরীরে মেদ জমবে না৷
২) ওটমিল: আরে আপনি কি শুধুই ব্রেকফাস্টে ওটমিল খান? কি সর্বনাশ! সারাদিনে যখন ইচ্ছে, তখনই আপনি একবাটি হোল গ্রেন ওটমিল খেতে পারেন, অনেকক্ষণ পেট ভর্তি থাকবে৷ শরীরেরও থাবা বসাবে না অতিরিক্ত মেদ৷ এতে থাকা ফাইবার শরীরের হজমের সমস্যাতেও সাহায্য করে৷
টিপস ২: ফ্যাট ফ্রি দই বা স্কিমড দুধেই ওটমিল খাবেন৷
৩) ডিম: একটু বেলার দিকে বা বিকেলের স্ন্যাক্স হিসেব ডিম অন্যতম ভালো বিকল্প৷ তবে এগ চাউমিন বা চিজ অমলেট নয়৷একটু নুন মিশিয়ে বয়েলড বা স্ক্র্যাম্বলড এগ৷ ডিমে থাকা ক্যালোরি আপনার শরীরের ফ্যাট কমিয়ে দিতে পারে৷ তাই ডায়েটিং করছেন বলেই ডিমকে সরিয়ে রাখবেন না৷
টিপস ৩: চাইলে প্রতি দুদিন অন্তর ডিমের কুসুমটা বাদ দিয়েও খেতে পারেন বিকেলের দিকে৷ কারণ এসময় আপনার শরীরে অতিরিক্ত এনার্জির প্রয়োজন, যা অনায়াসেই মিলতে পারে ডিম থেকে৷
৪)ফল: দুপুরে খেতে অনেকটা সময় এখনও বাকি৷ কিন্তু ব্রেকফাস্টের খানিকক্ষণ পর থেকেই খিদে কিদে পাচ্ছে৷ কী করবেন আপনি এসময়ে? আর যাই করুন ভুলেও খিদে চেপে রাখবেন না৷ তাতে পরে খিদে এত মারাত্মক বেড়ে যাবে যে একসঙ্গে অনেকটা খেয়ে নিলে মাথায় উঠবে আপনার ডায়েটিং৷ এরকম হলে কয়েকটুকেরা ফল মুখে পুরে নিন৷
টিপস ৪: তবে খালি পেটে কোনও টক ফল খাবেন না, অ্যাসিড হয়ে বিপত্তি হবে৷ পেয়ারা, শশা, স্ট্রবেরি, আপেল খেতে পারেন এসময়ে৷
৫) চিজ: হ্যাঁ ঠিকই শুনছেন, চিজেও ওজন কমতে পারে৷কারণ ডায়েটে যদি চিজের মতো প্রোটিন যুক্ত খাবারের প্রাধান্য থাকে, তাহলে কার্বোহাইড্রেট যুক্ত ডায়েট প্ল্যানের তুলনায় ওজন অনেক তাড়তাড়ি কমে৷ এতে কিন্তু আপনার ওজন বাড়ার ভয় নেই৷ কেননা সেই সময়ে আপনার শরীরে ওই খাবারের দরকার রয়েছে৷ মনে রাখবেন সমস্যা হয় অতিরিক্ত খেয়ে ফেললেই৷
টিপস ৫: তবে স্লাইস স্লাইস চেডার চিজ স্যান্ডুইচের মধ্যে খেলে হয়ে গেল! খিদের মুখে দু টুকেরা চিজ কিউব মুখে দিলে সুস্বাদুও লাগবে, আপনার পেটও ভরবে৷
৬) ভেজিটেবল স্যালাড: ক্রাঞ্চি-মাঞ্চি খেয়ে মুখবদল করতে চাইছেন, বিকেলে শশা আর কাজু খেয়ে বোর হয়ে গিয়েছেন৷ তাহলে আপনার জন্য রয়েছে ভেজিটেবল স্যালাড৷ বাড়িতে একটু অলিভ অয়েল এনে রাখুন৷আলু, পেঁয়াজ, টমেটা, ফুলকপি , গাজর সেদ্ধ করে নুন,গোলমরিচ , তেল দিয়ে স্যালাড বানিয়ে নিন৷শরীরে জমবে না ক্যালোরিও৷
টিপস ৬)অলিভ অয়েল না থাকলে সাদা তেলও ব্যবহার করেত পারেন৷
৭) ইয়োগার্ট: ডায়েটিং প্রিয় লোকজনের কাছে এটা আইসক্রিমের মতোই লোভনীয়৷এর মধ্যে থাকা প্রোটিন আপনার মেটাবলিজম সিস্টেম ঠিকঠাক রাখতে দারুণ ফলপ্রসূ৷
টিপস ৭: তবে ফ্যাট ফ্রি ইয়োগার্ট বাছবেন৷ উপরে ছড়িয়ে নিতে পারেন স্ট্রবেরি, ব্লুবেরি বা চেরি৷ চাইলে শসা, চাটমশলা দিয়ে বানাতে পারেন ইয়োগার্ট রায়তা৷ জমে যাবে আপনার ইউনিং স্ন্যাক্স৷
৮) পপকর্ন: ওজন কমানোর জনপ্রিয় স্ন্যাক্স হিসেবে পপকর্নের নাম রয়েছে৷
টিপস ৮: তবে খেতে হবে নুন, চিজ আর মাখন বাদ দিয়ে প্লেন পপকর্ন৷
৯) টার্কি জার্কি: প্রাচীন ঈজিপ্টে এর উৎপত্তি হয়েছিল৷সোজা বাংলায় বললে এটা অনেকটা আমাদের এখানকার স্যালামির মতো৷এতে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকে৷ আর খিদের মুখে একটু ভেজে নুন দিয়ে খেলে এক্কেবারে ইয়াম্মি৷
টিপস ৯: স্যালাড বা স্যান্ডুইচে মিশিয়েও এটা খেতে পারেন বিকেলে৷তবে এক্সট্রা চিজ টপিং কখনওই দেবেন না৷
Posted by Ab Emon