বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডের উইকেট নিয়ে অন্যসব ক্রিকেটারদের থেকে একেবারে ভিন্ন ভাবনা এনামুল হক বিজয়ের। এই ওপেনারের মন্তব্য দ্রুতগতির সিমিং উইকেট নাকি ব্যাটসম্যানদের জন্য দারুণ সহায়ক হবে।
শুধু তাই না, আসন্ন বিশ্বকাপে টাইগারদের ফলাফলের খাতায় স্মরণীয় কিছু হতে পারে বলেও বিশ্বাস, দু’বছর আগে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে যুবা বিশ্বকাপে সর্ব্বোচ্চ স্কোর করা এনামুল বিজয়ের।
‘যদি আমি সময় নিয়ে ব্যাটিং করতে পারি তবে বাংলাদেশের থেকে অস্ট্রেলিয়ায় বেশি ভালো খেলতে পারবো। উইকেটে হাইট থাকার ফলে স্বাচ্ছন্দ্যে শট খেলতে পারবো।’ এমনটাই বলছিলেন টাইগার ব্যাটসম্যান এনামুল হক বিজয়।
বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডের সিমিং উইকেটই বেশ ভোগাবে বাংলাদেশ দলকে। এমন অদৃশ্য এক ভীতি ভেসে বেড়াচ্ছে বাংলাদেশের ক্রিকেট আকাশে। কিন্তু, এমন সব ভাবনাগুলো পুল শটে উড়িয়ে দিলেন টাইগার ওপেনার এনামুল বিজয়। ২০১০-এ নিউজিল্যান্ড ও ২০১২ সালে যুবা বিশ্বকাপে নেতৃত্ব দেয়া ২২ বছর বয়সী এই ক্রিকেটোরের এমন আত্মবিশ্বাসের যথেষ্ট যুক্তিও আছে।
অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ৬ ইনিংসে ব্যাট করে ২ সেঞ্চুরি ও এক ফিফটিতে সাড়ে তিন’শরও বেশি রান করে হয়েছিলেন যুব বিশ্বকাপের সর্ব্বোচ্চ স্কোরার। তাই অজিদের কন্ডিশন সম্পর্কে টাইগারদের মধ্যে এনামুলের জানার পরিধি খানিকটা বেশি।
এনামুল জানান, ‘অস্ট্রেলিয়ার উইকেটে ব্যাটসম্যান সেট হয়ে গেলে রান করা সম্ভব।’
২০১২ সালে ক্রিকেট ক্যালেন্ডারে সব ধরনের প্রতিযোগিতায় ১১টি সেঞ্চুরি হাঁকানোর রেকর্ড আছে বিজয়ের। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রায় তিন বছরের ক্যারিয়ারে ২৭টি ওয়ানডেতে তিন সেঞ্চুরি সমান ফিফটিতে প্রায় ৩৬ গড়ে করছেন ৮৯২ রান।
তিনি বলেন, অস্ট্রেলিয়ার অনূর্ধ্ব ১৯ খেলোয়াড়রা ভালো খেলছে। আশা করি আমিও ভালো মানের ক্রিকেট উপহার দিতে পারবো।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বড় নামের পেসারদের পিটিয়ে রানের ফোয়ারা ছিটানো এনামুল এবার বুক চিতিয়ে লড়তে প্রস্তুত বিশ্বকাপের মঞ্চেও। আর সেখানে টাইগারদের ওপেনিং শক্ত ভিত্তি গড়তে পারলেই নাকি চমকপ্রদ ঘটনা ঘটতে পারে বাংলাদেশের ক্রিকেট অধ্যায়ে।