বাংলাদেশ টেলিভিশনকে সরকারের নয়, জনগণের মুখপাত্র হিসেবে গড়ে তোলা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর রামপুরায় বিটিভি ভবনে রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার মাধ্যমটির সুবর্ণ জয়ন্তী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান।
বিটিভিকে ব্যবহার করে স্বাধীনতার প্রকৃত ইতিহাস মুছে ফেলার চেষ্টা হয়েছিল অভিযোগ করে শেখ হাসিনা বলেন, অবৈধ ও অসাংবিধানিকভাবে ক্ষমতা দখল করে সামরিক শাসক জিয়াউর রহমান শুধু স্বাধীনতাবিরোধী রাজাকার-আলবদরদের রাজনৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবেই প্রতিষ্ঠিত করেননি, মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং আদর্শকে মুছে ফেলার ঘৃণ্য পরিকল্পনা নিয়েছিলেন।
কৃষির উন্নয়ন, শিক্ষার প্রসার, জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ, স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধি, নারীর ক্ষমতায়ন, বাল্যবিবাহ রোধ, বৃক্ষরোপণ, পরিবেশ রক্ষা, সামাজিক-গণসচেতনতা সৃষ্টিসহ ও নানা উন্নয়নমূলক অনুষ্ঠান প্রচারের মাধ্যমে বিটিভি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে বলে প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে বলেন। তিনি আরও বলেন, ‘সরকারের রূপকল্প-২০২১ বাস্তবায়ন ও ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে এসব অনুষ্ঠান তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে’। তাছাড়া, জঙ্গিবাদ নির্মূল এবং যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে জনমত সৃষ্টিতেও বিটিভি’র ভূমিকারও প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার দেশের প্রকৃত ইতিহাস জনগণের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করে। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বিটিভির উন্নয়নে নেয়া সরকারের নানান পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন। গণমাধ্যমের বিকাশে তার সরকারের নেয়া নানান পদক্ষেপের কথাও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।